ইউকে শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
হেডলাইন

সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদী খননের দাবি

সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদী খননের দাবি

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :প্রাচীনকাল থেকেই নদ-নদীর কিনারায় মানুষের আবাস্থল গড়ে উঠেছে। সেই যুগে সড়ক পথ গড়ে না উঠায় মানুষ নৌপথে চলাচল করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। কালের আবর্তে সড়ক পথ তৈরি হওয়ায় নদী পথ হারিয়ে ফেলেছে তার জৌলুস। কুশিয়ারা নদীর পাড় ঘেঁষে সেই আদী কাল থেকেই স্থানীয় জমিদার থেকে শুরু করে নিম্ন শ্রেনীর মানুষ বসতি স্থাপন করে আসছেন। এক সময় শেরপুর থেকে ভৈবর পর্যন্ত যাতায়াতের এক মাত্র চলাচলের রাস্তা ছিল এই কুশিয়ারা নদী।

এখন সেই নদী বেঁচে আছে মৃত অবস্থায়। শ্রোত নেই আগের মত। সরকারি তদারকিতে নদী খনন না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদী ফুলে উঠে কিনারার মানুষকে দূর্ভোগে ফেলে প্রতি বছর। এই স্থায়ী দূর্ভোগের শিকার হন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি, পাইলগাঁও, রানীগঞ্জ, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় কয়েক বছর ধরে সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধ নিমার্ণ করা হয়। বাঁধ নির্মাণের পর হাওরে নদীর পানি প্রবেশ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ফুলে উঠে পাড়ের বসতিতে আঘাত হানে কুশিয়ারা।

এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন মৌলভীবাজার জেলার, সুনামগঞ্জ জেলার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রায় লক্ষাধীক মানুষ। বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর অবহেলিত ওই নদী পাড়ের মানুষের আধা-পাঁকা, পাঁকা দালাকোঠা, ফিসারী, গবাদি পশু, সবজি বাগানসহ অনেকের শিশু সন্তানেরা চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। এতে প্রতি বছর ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর। নদী দ্রুত খনন করে খননকৃত মাটি বন্যাক্রান্ত এসব নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে ভরাট করলে স্থায়ী একটি সমাধান আসবে বলে মনে করছেন নদী পাড়ের মানুষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের সাথে পলি মাটি এসে কুশিয়ারা নদীর তলদেশ দিনেদিনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে অসংখ্য ডুবচর সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হেমন্ত মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে নদীর ডুবচরে নৌযান ও ফেরী আটকে যায়। এতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ভূক্তভোগীদের। যে কারণে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর ডুবচর চিহিৃত করে অপসারণ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, শাহ এস এম ফরিদ, এখলাছুর রহমান, মাসুম আহমদ সহ আরো অনেকেই জানান, নদীর পাশের খাল-বিল বন্ধ থাকায় শ্রোত কমে গিয়ে পানি ফুলে বসত বাড়িতে উঠে। নদী খনন করে নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসতভিটায় মাটি পৌছে দেয়া হলে বন্যার্ত মানুষ উপকৃত হবে। এটা থেকে বন্যার্তদের রক্ষা পেতে হলে নদী খনন করে পানি উন্নয়নের একোয়ারের নালাগুলো যদি ভরাট করা হয়, তবে মানুষ কুশিয়ারার থাবা থেকে রক্ষা পাবে, এর ফলে পাউবো’র বাঁধ নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে মুক্তি পাবে।

সুনামগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, নদী খননের বিষয়ে আমাদের একটি স্টোরী চলতেছে। কুশিয়ারা নদীর খনন আমাদের স্টোরীতে আসে কি না এখন আমি বলতে পারছিনা। কুশিয়ারার বিষয়ে আমাদের আরেক কর্মকর্তা আছেন তাহার সাথে যোগাযোগ করে বলতে পারবো।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com