
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বেশি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন, যা নিজের দখলে রাখেন। এছাড়া তার নামে খোলা তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ অর্থের ব্যবহার প্রসঙ্গে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “এসব অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।” এ প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতার মতো মোজাম্মেল হকও গা-ঢাকা দেন। তার অবস্থান নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাকে ভারতের একটি হোটেলে টেলিভিশন দেখতে দেখা গেছে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে তার দেশত্যাগের বিষয়ে আরও আলোচনা শুরু হয়।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, সরকার পতনের পর প্রথমে তিনি সেনানিবাসে আশ্রয় নেন, এরপর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়নি, তবে সোশ্যাল মিডিয়া ও গোয়েন্দা তথ্য বলছে, তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন।