ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বামী ও তিন সন্তানের মৃত্যুর পর এবার মারা গেলেন শেলি বেগম (৩৬)।
নিহত শেলি বেগম নবীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বাউসা ইউনিয়নের সূজাপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম। শেলি বেগমের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ হওয়া ছয়জনের ৫ জনই মারা গেলেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মারা যান গৃহকর্তা ৪২ বছর বয়সী বাবুল। এর আগে মঙ্গলবার তার নয় বছর বয়সী মেয়ে তাসলিমা, দুই ছেলে মো. সোহেল (২০) ও ইসমাইল (১১) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাবুলের শরীরের ৬৬ শতাংশ, তাসলিমার ৬৩ শতাংশ, সোহেলের ৭০ শতাংশ এবং ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলকান্দাইল ইউনিয়নের দোহরগাঁও এলাকায় একটি বাড়িতে মশার কয়েল ধরানোর সময় লিকেজ থেকে রুমের মধ্যে জমে থাকা গ্যাসে আগুন লেগে বাবুল মিয়ার পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটে সোহেল মিয়ার স্ত্রী মুন্নির (১৮) চিকিৎসা চলছে।