ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তীর বাংলাবাজারে টাস্কফোর্সের অভিযানে ১ হাজার ৪৯৫ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করা হয়েছে। একই অভিযানে অবৈধভাবে মজুত করা ১১০ বস্তা সুপারিও জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার চিনি-সুপারি জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনুর নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের এই অভিযান চালানো হয়।এতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্সের জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অভিযান হয়েছে। অভিযানে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভাওয়ালীপাড়া, বাংলাবাজার, বড়খাল, কলাউড়া গ্রাম থেকে ১ হাজার ৪৯৫ বস্তা চিনি ও ১১০ বস্তা বাংলাদেশি সুপারি জব্দ করা হয়। মজুত করা থাকলেও চিনি ও সুপারির মালিক দাবিদার না পাওয়ায় কাউকে আটক করা হয়নি।
অভিযানে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান, বাংলাবাজার সীমান্তে বিজিবি ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার আনোয়ারসহ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
টাস্কফোর্স সূত্র জানায়, জব্দ করা চিনি ও সুপারি বিজিবির হেফাজতে নিলামে বিক্রি করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জামা দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবারের অভিযান শুরু হলে স্থানীয়রা ধারণা করছিলেন, টাস্কফোর্সের অভিযান পাশের ইউনিয়ন বুগলাতে পরিচালিত হবে। কিন্তু বাংলাবাজারের পর টাস্কফোর্সের অভিযান আর বিস্তৃত হয়নি।
টাস্কফোর্সের এ অভিযানকে স্মরণকালের বৃহত্তম অভিযান হিসেবে সাধুবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী বলছেন, এ ধরনের অভিযান বাংলাবাজার ইউপির পশ্চিম দিকে বুগলা ও লক্ষ্মীপুর এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচার, জাহাঙ্গীরনগর, বিশ্বম্ভরপুরের সলুকাবাদ ও ধনপুর ইউপিতে চালানো হলে বড় সফলতা আসবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু সাংবাদিকদের জানান, চোরাই পথে ভারতীয় চিনি ও সুপারি আমদানি করার হয়েছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাস্কফোর্স অভিযান চালানো হয়। সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।