ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩’ প্রতিযোগিতার ছয় বিজয়ী বাংলাদেশি তাদের চীন সফর শুরু করেছেন। ১০ দিনের এই সফরে তারা প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতি বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়াও, হুয়াওয়ের আরঅ্যান্ডডি (R&D) সেন্টার ও সদর দপ্তর পরিদর্শনসহ ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চীন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়ার পাশাপাশি “ট্যালেন্ট সামিট ২০২৩” এ যোগদান করবেন।
এই বছরের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এর মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন এবং অর্পন সাহা; বুয়েটের এমই বিভাগের ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী; রুয়েটের সিএসই বিভাগের মায়িশা ফারজানা; আইইউটির সিএসই থেকে সাজিদ আহমদ চৌধুরী এবং ইইই থেকে আল মুমতাহিনা এরিকা ।
দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে হুয়াওয়ে এ বছর ১০ম বারের মতো বাংলাদেশে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’-এর আয়োজন করেছে। এ বছর ৬০০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়ে। শীর্ষ ২০ শিক্ষার্থী তাদের প্রোফাইল, কনসেপ্ট এবং উপস্থাপনায় যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন। আইসিটিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ক্ষমতায়ন বিষয়ে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার এবং প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শীর্ষ ২০ জন থেকে ছয়জন বিজয়ীকে নির্বাচিত করা হয়।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বোর্ড মেম্বার ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর জেসন লি বলেন, ‘‘হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩’ তথ্য-প্রযুক্তিগত জ্ঞানের শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়ন করতে চায়। আমরা সবাই জানি যে আইসিটিই হলো ভবিষ্যত। এই চীন সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আইসিটি শিল্প এবং কীভাবে তা সমাজের উপকার করতে পারে সে সম্পর্কে বাস্তবসম্মত জ্ঞানলাভ করবে। ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’-এর অন্যতম লক্ষ্য হলো তরুণদের ক্ষমতায়ন করা যাতে তারা ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিতে পারে। আমি এই বছরের বিজয়ীদের শুভকামনা জানাই।”
উল্লেখ্য, ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ হলো হুয়াওয়ের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম, যা ১৫ বছর যাবত ডিজিটাল সেক্টরের জন্য প্রতিভা তৈরি করে আসছে। বিশ্বব্যাপী ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে। বাংলাদেশে হুয়াওয়ে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং এই প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের এর অংশ হতে সহায়তা করবে। হুয়াওয়ের এই ধরনের উদ্যোগগুলো দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে। পাশাপশি তরুণরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশকে নতুন ডিজিটাল রূপান্তর যুগের দিকে নিয়ে যেতে সঠিক সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে