ইউকে রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
হেডলাইন

তাহিরপুরে কয়লা আমদানি বন্ধ, অচল ৩ বন্দর

তাহিরপুরে কয়লা আমদানি বন্ধ, অচল ৩ বন্দর

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :নদীপথে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বড় তিন শুল্ক বন্দরে কয়লা বিক্রয় এবং পরিবহন পঞ্চম দিনের মতো বন্ধ রেখেছে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। প্রতিদিন প্রায় ৮ কোটি টাকার পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকছে। বন্দরগুলো হলো সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলি।

মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের অফিসে সংগঠনের জরুরি সভায় এমন তথ্য জানানো হয়। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের হুমকি দিয়েছেন আমদানিকারকরা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায়, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক অমল কর, কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের উপদেষ্টা রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার, সিনিয়র সহসভাপতি ফরিদ গাজী, অর্থ সম্পাদক জাহের আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের প্রমুখ।

আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহনের সময় পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন নৌকা ও বাল্কহেড চালকরা। এতে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিএ ও উপজেলা প্রশাসনের খাস কালেকশনের নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়। যতদিন এই বেপরোয়া চাঁদা আদায় বন্ধ না হবে, ততদিন কয়লা-চুনাপাথর বিক্রয় ও বহন বন্ধ থাকবে।

সুনামগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায় বললেন, নদীপথে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদাররা বেশি টোল আদায় করতে পারবেন না। তাদের বিষয়টি বলে দেওয়া হয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত টোল আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com