ইউকে রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

রমজানে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর করণীয়

রমজানে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর করণীয়

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :রোজা পালনকালে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগী অনেক দিন ধরে একই রকম জীবনযাপন করে থাকেন। রমজানে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু নিয়ম মানলে সুস্থভাবে থাকতে পারবেন।

সুস্থ কিডনির জন্য করণীয় : স্বাস্থ্যবান ও সতেজ থাকুন, সুস্থ জীবনযাপন করুন। নিজেকে যত বেশি সতেজ রাখবেন, কিডনি তত ভালো থাকবে। সকালে হাঁটুন, দৌড়ান বা সাইকিং করুন। ডায়াবেটিস আক্রান্তরা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়াবেটিস রোগ কিডনির ক্ষতি করে। যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে কিডনি রোগ প্রতিহত করা সম্ভব। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিয় ব্লাড প্রেসার। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রেসার ১২০/৮০ সস ঐম রাখা যায়। যদি ১৪০/৯০ সস ঐম ওঠে, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য খাবেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। লবণ কম খাবেন। লবণ খাবেন প্রতিদিন ৫-৬ গ্রাম। কাঁচা লবণ একদম খাবেন না। প্রতিদিন বেশি বেশি পানি ও তরল খাদ্য খাবেন। প্রতিদিন তরল খাদ্যের পরিমাণ হবে ১.৫ থেকে ২ লিটার। ধূমপান করবেন না। ধূমপান করলে কিডনিতে রক্ত প্রবাহের গতি কমে যায়। উপরন্তু ধূমপান কিডনি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় প্রায় ৫০ শতাংশ। ব্যথার ওষুধ নিজের ইচ্চামতো খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ব্যথার ওষুধ কিডনির ক্ষতি করে। যখন দীর্ঘস্থায়ী কোনো ব্যথায় ভোগেন, তখন ব্যথার ওষধু কিভাবে পরিহার করে সুস্থ থাকা যায়, তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।

কিনডি পরীক্ষা করাবেন যখন : যদি ডায়াবেটিসে ভোগেন, যদি আপনার ব্লাড প্রেসার বেশি থাকে, যদি আপনার ওজন বেশি হয়, যদি আপনার বাবা-মা কেউ আগে কিডনি রোগে ভুগে থাকেন। তবে

রোগের শুরুতেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা দীর্ঘদিনের ডায়াবিটিসে মানবদেহে নানা রোগের সৃষ্টি করে থাকে।

জরুরি পরীক্ষা : ডায়াবেটিস রোগীর নিয়মিত ফলোআপের তিনটি অংশ রয়েছে। ১. রক্তে শর্করা ও অন্যান্য মাত্রা সঠিক আছে কিনা, তা জানা; ২. কোনো জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা, তা খুঁজে দেখা; ৩. ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানা।

১. তিন থেকে ছমাস অন্তর রক্তে শর্করার গড় বা এইচবিএওয়ান সি পরীক্ষা করানো উচিত। এর মাত্রা ৭-এর নিচে থাকা ভালো। একইসঙ্গে ফলোআপে রক্তচাপ মাপতে হবে। বছরে একবার রক্তে ক্ষতিকর চর্বি পরিমাপ করা উচিত। সেই সঙ্গে দরকার ওজন পরিমাপ করা ও বিএমআই হিসাব করা। তবে রোগী বাড়িতে নিজেই সপ্তাহে এক বা দুই দিন নিজের শর্করা পরীক্ষা করবেন। খালি পেটে ও খাওয়ার দুঘণ্টা পর। পরিমাপ চার্ট করে রাখুস। খালি পেটে সুগার ৬ মিলিমোল বা এর কম ও খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ৮ মিলিমোল বা এর কম থাকা বাঞ্ছনীয়।

২. ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য আতঙ্কের নাম কিডনি অকার্যকারিতা। কিডনি কেমন কাজ করছে, তা জানার জন্য রক্তে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষাই যথেষ্ট নয়। বছরে এক বা দুবার প্রস্রাবের অ্যালবুমিনের উপস্থিতি, পায়ের স্নায়ু ও রক্তনালির সুস্থতা, চোখের পরীক্ষা করে নিন। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে। তাই যকৃৎ পরীক্ষাও করিয়ে নিতে হবে।

তিন. নিয়মিত ফলোআপের বড় অনুষঙ্গ নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষিত করে তোলা। খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ইনসুলিন ও গ্লুকোমিটারের ব্যবহার, জটিলতা হলে করণীয় (যেমন হাইপোগ্লাইসমিয়া হলে কি করবেন) ইত্যাদি বিষয়ে চিকিৎসককে প্রশ্ন করে বিস্তারিত জেনে নিন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com