ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : করোনার প্রকোপ কমায় দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ডামাঢোল শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জেলায় নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা হয়ে গেছে। পিছিয়ে নেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেশে ছুটছেন তারা।
প্রবাসীদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়নের আশায় দেশে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন যুদ্ধ হচ্ছে প্রবাসীদের মধ্যেই।
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অরণোদয় পাল ঝলক ও ফয়সাল হোসেন সুমন। ঝলক যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুমন লন্ডন মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। দু’জনই দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার সিটির হাজলিন্টন এলাকার বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী) শাহ আবদুল কাহার রাসেল বলেন, জনগণের সেবার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন পাটলী ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে আছি। দীর্ঘদিন দেশে থাকার পর যুক্তরাজ্যে ফিরে যাই। পরবর্তীতে গত সপ্তাহে দেশে ফিরে আসি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের পাশে থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছি।
প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী মঞ্জুর আলী আফজল বলেন, আমি গেল সপ্তাহে দেশে এসেছি। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছি। প্রবাসে থাকলেও সব সময় আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করি।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. রুমেন মিয়া বলেন, করোনার প্রকোপ কমায় দেরি না করে দেশে চলে এসেছি। মানুষের কাছে যাচ্ছি।
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের কুলঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবু ছালেহ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এলাকার সামাজিকসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দ্রত দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি নির্বাচন করার জন্য।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নাহিদ হোসেন নামের এক ভোটার বলেন, সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীরা দেশে এসে নির্বাচন করতে বরাবরই আগ্রহী। তবে প্রবাসীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে অনেক সময় কালো টাকার ছড়াছড়ি হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তাদির আহমদ মুক্তা বলেন, প্রবাসী দলীয় নেতারা নির্বাচনে মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে তৃণমূল থেকে নাম উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। প্রার্থিতার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় সভানেত্রী।