ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে লেখকের জন্মস্থান কুড়িগ্রামে নানা কর্মসূচির আয়োজনব করা হয়েছে।
লেখকের ভাতিজা আবিদ সৈয়দ হক জানান, পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দীন জানান, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে সকাল ১০টায় কলেজ অধ্যক্ষসহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম লেখকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈত্রিক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। লেখকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।
বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হক সব্যসাচী লেখক হিসেবে ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ১৯৫০ এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে সুনাম কুড়িয়েছেন। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের নভেম্বরে সৈয়দ শামসুল হক লন্ডন চলে যান। সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের খবর পাঠ করেছিলেন তিনি।