ইউকে মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

চট্রগ্রামের রাজনীতিবীদদের পিছন দিয়ে মরিচের গুড়ো ঢুকিয়ে দিতে হবে

◻️রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী◻️

মেজর সিনহা হত্যাকান্ড নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশ থেকে ভদ্রতা ভালোবাসা শ্রদ্ধা শিষ্টাচার উঠে যাচ্ছে। যাবে না কেন? মানুষ তো আর মানুষ নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ। টাকার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা বাংলাদেশের মানুষ করতে পারেনা। ওসি প্রদীপ কি একদিনে বেড়ে উঠেছে? বদি কে? কি তার পরিচয়? বদির পরে তার স্ত্রীকে কে এমপি বানিয়েছে, কক্সবাজার টেকনাফে মাফিয়া চক্র কি করে গড়ে উঠেছে এসব জানার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে উঠি। পরিচিত দু’একজনের সাথে কথা বলি। কিন্তু তারা ওসি প্রদীপের ভয়ে মুখ খুলতে চাননা। পুরো চট্রগামের মানুষ ভয় পায় ওসি প্রদীপকে। কেন ভয় পায়? ওসি প্রদীপ নাকি মানুষ খেয়ে ফেলে। তার সাথে লিয়াকত এবং ওসি মর্জিনা নাকি আরেক গড মাদার। একজন মহিলা এতটা খারাপ হয় কি করে? ফোন করি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মানব কন্টের সম্পাদক দুলাল আহমদ চৌধুরীকে। দুলাল ভাইর সাথে আমার সম্পর্ক সেই দৈনিক আমাদের সময় থেকে। তখন ছিল ওয়ান ইলেভেনের সময়। আমাদের সময়ে লেখা শ্রদ্ধেয় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বরাবর পাঠিয়েই  দুলাল ভাইকে ফোন করতাম। দৈনিক আমাদের সময়ে মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপা হতো প্রথম পৃষ্টায়। যন্ত্রনা দিয়েছি দুলাল ভাইকে।  দুলাল ভাইকে বলি আমার গেষ্ট লাগবে। আপনিসহ তিন জন। দুলাল ভাই বললেন তিনি পারবেন না। অফিস থেকে বাসায় যেতে রাত ১১টা হয়ে যায়। বুঝি ব্যস্ততা আছে। একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক। আমি অুনরোধ করি চট্রগ্রাম কক্সবাজার টেকনাফের সাংবাদিক হতে হবে।তিনি কথা বললেন কিন্তু শেষ মুহুর্তে যিনি কনফার্ম করেছিলেন তিনি আসলেন না। দুলাল ভাই জিজ্ঞেস করলেন সাংবাদিক কেন? বলেছিলাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা প্রয়োজন। ওসি প্রদীপের কাছ খেকে কোন কোন সাংবাদিক টাকা খায় তা তো জানা প্রয়োজন। জানা প্রয়োজন আপনারা যারা ঢাকায়  বড় বড় সম্পাদক সেজে বসে আছেন তারা কি করেছেন? দুলাল ভাই বললেন আমি বসবো। বললাম ধন্যবাদ। লিংক পাঠিয়ে দিলাম। চ্যানেল আই ইউরোপের সম্প্রচার আওয়ামীলীগ সরকার বন্ধ করার পর আমি কোথাও কোনো প্রোগ্রাম করিনা। অনলাইনে আমার ষ্ট্রেইট ডায়ালগ প্রোগ্রাম করি। দুলাল ভাই বললেন কক্সবাজারের একজন বিপ্লবী নেত্রী আছেন তিনি বসবেন। কি নাম? বললেন নাজনীন সরোয়ার কাবেরী। লন্ডন সময় বিকেল টায় টক শো শুরু করি। কাবেরীকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর শুরু হলো কথা। জিজ্ঞেস করি কারা কারা ওসি প্রদীপের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। কাবেরী বললেন কেউ না। 

প্রিয় পাঠক ওসি প্রদীপ, এসপি মাসুদ, মার্জিনা, লিয়াকতরা যে অপরাধ করেছে, সেই অপরাধকে সমর্থন করেছে চট্রগ্রামের রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, শিক্ষক ,মৌলানাসহ চট্রগামের সর্বশ্রেণীর মানুষ। তারা যদি সমর্থন না করে তাহলে কি করে প্রদীপ মাসুদরা দিনের পর দিন এসব কুকাজ করে বেড়ায়। কাবেরীর সাথে সেদিন কথা বলে জানতে পেরেছি কাবেরীর ভাইও সেই এলাকার এমপি। একমাত্র কাবেরী ছাড়া কেউই কথা বলছেন না। বদি থেকে শুরু করে বদির স্ত্রী সেই ইয়াবা ব্যবাসার নেতা। যে বদি অপরাধ করলো সেই বদির স্ত্রীকে আবার এমপি বানিয়ে দিল আওয়ামীলীগ? আওয়ামীলীগের সব অপকর্মের সাথে জড়িত বর্তমান সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উরপে ঘড়ি কাদের স্যার। টাকা ছাড়া ওরা কোনো কথা বলেনা। পুলিশের বর্তমান প্রধান যিনি, শুনেছি তার স্ত্রীও নাকি এক সময় গাড়ীর ব্যবসা করতেন। এখনো করেন কি না মাননীয় স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী ভালো বলতে পারেন। 

কাবেরীকে সেদিন টক শোতে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিএনপি কি কোনো কথা বলেছে? কাবেরী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন ওরা কি কথা বলবে? ওরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বর্তমানে ভারতে গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিনের নৃশংশ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। কাকে কি বলবেন এই চট্রগ্রামের উপমন্ত্রী হচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী সাহেবের ছেলে ব্যারিষ্টার নওফেল। আমি জানিনা উনি ব্যারিষ্টার কোথা থেকে হয়েছেন। যদি লন্ডন থেকে ব্যারিষ্টার হয়ে থাকেন তাহলে তো তার ব্যারিষ্টারী সনদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। কারন তিনি তো আইনের মানুষ। আইনের মানুষ হয়ে বেআইনী কাজকে যখন সমর্থন করেছেন দিনের পর দিন তাহলে তো তার নামের পিছনে ব্যারিষ্টার লিখা উচিৎ না। মহিউদ্দিন চৌধুরী সাহেব তার ছেলেকে কষ্ট করে ব্যারিষ্টার বানিয়ে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে চট্রগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছন। আর সেই দায়িত্ব তিনি পালন করছেন ওসি প্রদীপের কুকর্মকে সমর্থন দিয়ে? সাবাস ব্যারিষ্টার নওফেল চৌধুরী। আপনাাকে অভিনন্দন। 

চট্রগ্রামের বড় নেতা হচ্ছেন কর্নেল অলি সাহেব। যখন মেজর সিনহা মরছেন ওসির গুলিতে,  যখন, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার পিছন দিয়ে মরিচের গুড়ো ঢুকিয়ে দিয়েছে ওসি প্রদীপের বাহিনী তখন কর্নেল অলি স্মৃতি রোমন্তন করছেন তাকে কখন প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিল সেটি। যেন রোম যখন জ্বলচে—–কর্নেল অলী তখন চট্রগামের বসে বাশের বাশী বাজাচ্ছেন। আমি টক শোর শেষের দিকে জানতে চাইলাম নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস স্যার কি কোনো ষ্টেইটমেন্ট দিয়েছেন? দুলাল ভাই বললেন এই করোনা মহামারীর সময়ে গ্রামীন ব্যংকের অত্যাচার বন্ধ হয়নি। টাকা আদায়ে তারা মানুষের উপর অত্যাচার করছে। বলার কিছু আছে?  

মোবাইল ব্যবসায়ি মোর্শেদ খান স্যারের কথা জিজ্ঞেস করতে ভূলে গিয়েছিলাম। শুনেছি স্যার  চাটার্ড  ফ্লাইট করে লন্ডনে চলে এসছেন।হায়রে দেশ হায়রে দেশের ব্যবসায়ি মানুষ। হায়রে দেশের নেতা মন্ত্রী তোরা কবে মানুষ হবে। নিমক হারামের বাচ্চারা?

শেষ কথাঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওসি প্রদীপের কিছুই হবে না। আমি জানি। কারন এর আগেও অনেক অপরাধের বিচার হয়নি। ক্যসিনো ব্যবসায়িদের বিচার হয়নি। পাপিয়ার বিচার হয়নি। জিকে শামীমের বিচার হয়নি। সর্বশেষ শাহেদরও বিচার হবেনা। কারন ওদের সমস্যা হলে ওরা ফোন করে স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল স্যারকে। স্যারের সাথে ওদের সম্পর্ক কি

আমি মনে করি চট্রগ্রামের মানুষকে কাবেরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে হবে। এখন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার সময় এসেছে। আর কত আইন কানুন মেনে চলবেন? যেখানে ওসি প্রদীপ আইন মানেনা। যেখানে বেনজীর আহমদের নেতৃত্বে পুলিশ জনগনের উপর অত্যাচার করে, যেখানে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার পিছন দিক দিয়ে মরিচের গুড়ো ঢুকায়, সেখানে উল্টো তাদেরকে ঢুকিয়ে দিতে হবে। সেটিকে যদি কেউ বলে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তাহলে তাই করা উচিৎ। আমি সেই ভা—–আইনের গুষ্টি কিলাই।  

লেখক সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব

সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর চ্যানেল আই ইউরোপ

লন্ডন ১৩ আগষ্ট ২০২০ ইংরেজী

E:straightdialogue@yahoo.co.uk

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

‘মুক্তমত’ বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব। ‘ইউকে বাংলা অনলাইন ডট কম’ সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ‘মুক্তমত’ বিভাগে প্রকাশিত লেখার দায় ‘ইউকে বাংলা অনলাইন ডট কম’ এর নয়। - সম্পাদক

সর্বশেষ সংবাদ