
হঠাৎ করেই গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে আসা হলো কেন? এটা কি ডঃ রুবানার একক সিদ্ধান্ত? এত বড় সিদ্ধান্ত রুবানাএকা নিতে পারবেন বলে আমার মনে হয়না। যেখানে গোটা পৃথিবী লকডাউন, যেখানে ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশে লক ডাউন সেখানেএক ব্যাক্তির ইচ্ছায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা পায়ে হেটে ঢাকা চলে আসে এটা কোন ধরনের কথা? রুবানা হকের গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি যত বড়অর্ডার আমেরিকা থেকে পাক না কেন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে তো আর ব্যবসা হয়না। না হয়? কে জানে। লন্ডনে বৃটিশবাঙালীরা করনা আসার সাথে সাথেই গ্রোসারী দোকানে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য বৃটেনের নামকরা বৃটিশ বাঙালী ব্যবসা প্রতিষ্টানইকবাল ব্রাদার্স দাম বাড়ায়নি। ইকবাল ব্রাদার্সের মালিক ইকবাল ভাই একটা কাজ করেছেন এবার। মুখ কিছুটা রক্ষা হয়েছে। এ জন্যইকবাল ব্রাদার্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়। বৃটিশ বাঙালীদের মান ইজ্জত কিছুটা হলেও রক্ষা হয়েছে। ব্যবসা সবাই করে। মুনাফাকরে। মুনাফা ছাড়া তো ব্যবসা হয়না। টেসকো, সেইন্সবারী, আসদা, বড় বড় সুপার ষ্টোরগুলো এই করনা ভাইরাসের সময় ইচ্ছে করলেব্যবসা করতে পারতো, দাম বাড়াতে পারতো। করেনি। মানুষকে বিপদে ফেলে ব্যবসা হয়না। চিকিৎসকরাও ব্যবসা করে? রোগীর লাশআটকে দেয় বিল না দিলে। বাচ্চা প্রসবের অর্ধেক করে বলে আগে টাকা দেন পরে বাচ্চা বের করবো পেট থেকে। রোগীর টেষ্ট দরকারএকটা, বলে- টেষ্ট লাগবে পাচটা। সারা জীবন চুটিয়ে ব্যবসা করেছে বড় বড় ডাক্তাররা। এখন নাকি তাদের কিট কেনার পয়সা নেই।তারা সরকারের হাতের দিকে চেয়ে থাকে। সরকার তো সরকারই। করনা ভাইরাস আসার পর সরকার বলেছিল সব ঠিক আছে।সরকারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। সরকারের কথায়, সরকারের চামচাদের কথায় মনে হয়েছে করনা আসা মাত্র গুলি করে হত্যা করবেকরনাকে বাংলাদেশ সরকার। আসলে সরকার ব্যস্ত ছিল মুজিব বর্ষ নিয়ে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্তারা নাকের ডগায় সরিষারতেল দিয়ে দিনে দুপুরে চেয়ারে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘড়ি কাদের স্যার বক্তব্য দিয়েছেন। বলতে বলতে বলেছিলেন তিনি করনার থেকেশক্তিশালী। আমি ভেবেছিলাম তিনি হয়তো বা ভায়াগ্রার কথা বলছেন। ভায়াগ্রা খেলে তো সব বৃদ্ধ লোকরা শক্তিশালী হয়। এটাই তোনিয়ম। কিন্তু করনা যে ভায়াগ্রার থেকে আরো পাঁচশত গুন বেশী শক্তিশালী এটা ঘড়ি কাদের স্যারকে কে বুঝাবে?
সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে তথ্যমন্ত্রী যখন কথা বলেছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এত কথা বলারদরকার নেই। তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বুঝেন যে হাসান মাহমুদ স্যার বেশী কথা বলেন? কে কি বললো সে সব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেয়ার করেন না। না করারই কথা। পাচে লোকে কিছু বলে। শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি ২০ ঘন্টা কাজ করেন। সত্য মিথ্যাজানিনা। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচারও এক সময় ২০ ঘন্টা কাজ করতেন। তাকে আয়রন লেডি বলা হতো। রাষ্টের কাজে তিনিএতটাই বিভোর ছিলেন যে স্বামী ডেনিসকে সময় দিতে পারেননি। মেয়ে ক্যারল থেচার যখন বিচার দিয়ে বলেছিল ডাডি আমি তো গতএকমাস থেকে মাম্মীর সাথে কথা বলতে পারছিনা, তখনই তেলে বেগুনে জলে উঠেন থেচারের স্বামী মিঃ ডেনিস। স্ত্রীকে বাড়ীতে আসতেবলেন, স্ত্রী থেচার আসলেন। ডেনিস বলেছিলেন জাতীর মা হতে তার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু প্রথমে তো ক্যারল থেচারের মা হতেহবে। পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য সেই আয়রন লেডি রাষ্টের কাজ কমিয়ে ১২ ঘন্টায় নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের সমাজে কেউ যদিসমাজসেবক হন অথবা রাজনীতিবিদ হন তাহলে তো কথা নেই। তিনি স্বামী সংসার সব ভূলে যান। জলন্ত প্রমান তো পাপিয়া। অবশ্যস্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি ভালোবাসা শ্রদ্ধাবোধ না থাকে তাহলে সংসার ঠিকেনা। লন্ডনে প্রথম বৃটিশ বাংলাদেশী হাউস অব লর্ডসের মেম্বারব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন। ২০০৭ ইংরেজীর কথা। আমি তখন লন্ডনে চ্যানেল এস টেলিভিশনে ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশেন্সএর দায়িত্বে ছিলাম। পলা আপা গিয়েছিলেন একটি প্রোগ্রামে। প্রোগ্রাম পরে আমরা আড্ডায় বসে যাই। রাত গভীর হতে থাকে। পলাআপা শুধু ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি ঘড়ি দেখেন কেন? বলেছিলেন রাত বেশী হলে আমার স্বামী রাগকরবেন। চলো আমাকে বাসায় নামিয়ে দিবে। আমার বাসা থেকে পলা আপার বাসার দুরত্ব তেমন ছিলনা। আমি তাকে নামিয়েদিয়েছিলাম। পলা আপার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। ব্যারোনেস পলা মজ্ঞিলা উদ্দিনের শ্রদ্ধাবোধ নাথাকলেও চলতো। কিন্তু না তিনি তার স্বামীকে ভালোবাসেন শর্তহীনভাবে। মার্গারেট থেচারকে যখন তার স্বামী বলেছিলেন জাতীর মাহতে আপত্তি নেই, প্রথমে ক্যরোল থেচারের মা হতে হবে। থেচার কিছু বলেন নি। তিনি রাষ্টের কাজ কমিয়ে পরিবারকে প্রাধান্যদিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে যা ঘটছে তা অচিন্তনীয়। আমার এক পরিচিত বন্ধুর ছোট ভাই বাংলাদেশ থেকে বিয়ে করেলন্ডনে নিয়ে এসেছে। তার স্ত্রীর দাপট দেখে তো আমি অবাক। জিজ্ঞেস করি কি করতেন বাংলাদেশে? বলে কিছুই না। আমি গ্রাজুয়েট।বলেছিলাম হুমায়ুন আহমেদ সাহেবের নাটকে এক নায়ক হাত মেলানোর সময় বলতো আমি অমুখ বিএবিএড। এ রকম নাকি। মেয়েআমাকে বলে ফাজলামী করেন অমার সাথে? বলেছিলাম না। আপনি সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তিত্ব আপনার সাথে কেন ফাজলামীকরবো? বন্ধুর ছোট ভাই অর্থাৎ মেয়েটির স্বামী তার স্ত্রীকে বলেছিল কি বলছো এসব ! ফয়সল ভাইর সাথে তোমার পরিচয় নেই। মেয়েআমাকে সরি বলে। যে মেয়ে কিছুই না, সিম্পল গ্রাজুয়েট তা-ও বাংলাদেশ থেকে বিয়ে হয়ে “লুঙ্গি ভিসায়“ এসেছে সেই মেয়ে যখন তারস্বামীকে শিখাতে শিখাতে আমাকে শুরু করে দেয় শিখানো তখন তাকে কি বলবেন? মানুষের অহংকারের কিছু জায়গা থাকে। তার তোকিছুই নেই। ফলস প্রাইড – মিথ্যা অহংকার নিয়ে বসে আছিস কেন? ভাব দেখায়। ভাব কাকে দেখাস? স্থান কাল পাত্র তো বুঝতে হবে।অবশ্য যাদের ভাব দেখানোর কথা তারা কিন্তু দেখায়না। সমাজের যত কচুরীপনা, আবর্জনা উচ্চিষ্ট প্রাণী এদের ভাব দেখলে মনে হয় উষ্টামারতে।
সে যাক প্রিয় পাঠক হঠাৎ করে যখন দেখলাম ডঃ রুবানা হককে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া গরম হয়ে গেছে তখন চোখ রাখি সোস্যালমিডিয়ায়। রুবানা প্রয়াত আনিসুল হক সাহেবের স্ত্রী। তিনি অতীতে কি করেছেন না করেছেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। বাঙালীকোনো কিছু পেলে খবর করে দিতে ভালোবাসে। আমার কেন জানি মনে হয় গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা রুবানার এককসিদ্ধন্ত হতে পারেনা। রুবানাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য হয়তো একটা চক্রান্ত হতে পারে। ডঃ রুবানা বেশ গুচিয়ে কথা বলেন। তিনিবিজিএমই-এর সভাপতি। দেশের আইন ভঙ্গ করে রুবানা শ্রমিকদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসবেন, নিয়ে এসে তাদেরকে বলবেন কাজ করারজন্য , আমার কেন জানি বিষয়টি জটিল মনে হচ্ছে!! আমি জানিনা আমি হয়তো ভূল হতে পারি। তবে ডঃ রুবানাকে বিষয়টি পরিস্কারকরতে হবে। যদি সরকারের হাই কমান্ড থেকে বলা হয়ে থাকে শ্রমিকদেরকে ডেকে নিয়ে এসে তাদেরকে কাজে লাগিয়ে দাও তাহলে রুবানাকি করবেন? আমাকে অনেকেই বলেছেন আমি নাকি ইদানিং অতিমাত্রায় সরকারের- আওয়ামলীগের সমালোচনা করেছি। কেন করেছিকেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি। একজন লেখক সাংবাদিকের কাজ কি? সরকারকে সাবধান করে দেওয়া। সরকারের হুমড়া চুমড়াদেরগঠনমূলক সমালোচনা করা।
আমাদের অনেক ব্যাপার বুঝতে হবে। করনা ভাইরাস শেখ হাসিনার সরকার কিন্তু দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসেনি। এটি হাসিনা সরকারেরসমস্যা নয়। এটি পৃথিবীর সমস্যা। বৃটেনে বরিস জনসনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর হানিমুন প্রিয়ড পার করতে পারেনি। একের পরএক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর আগে ছিল ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া নিয়ে তেলেসমাতি। সেটি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেইকরনা ভাইরাস। কোনো কিছুতেই যেন মুক্তি নেই। একটি কঠিন সময় পার করছি আমরা।। বাংলাদেশকে বা সরকারকে দোষ আর কতদিব। আমি নিজেই এখন অনেকটা ক্লান্ত। লন্ডনের মত জায়গায় জিপি সার্জারীতে রোগী দেখছে ভিডিওতে। লন্ডনের ডাক্তার নার্স কাজকরছে বিরামহীন। সবাই ডাক্তার নার্সকে এখন উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার রাত আটটায় হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করে।ইটালীর মিলানে তিল ধারনের জায়গা নেই হাসপাতাল গুলোতে। মানুষ মরছে, মানুষ মরবে। তবে সচেতন থাকলে মৃত্যু কিছুটা নিয়ন্ত্রনেরাখা যেতো। অনেকেই অভিযোগ করছেন মানুষ কথা শুনেনা। লন্ডনেই কথা শুনেনা। সাদা মানুষ ইংলিশ মানুষ গত রোববার চলে গেছেব্রাইটনে হলিডে করার জন্য। আমার বাসার কাছে পার্কে শুরু করে দিয়েছে ফুটবল খেলা। কাকে কি বলবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ রুবানা হক যদি তার একক সিদ্ধান্তে শ্রমিকদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তাহলে করনা ভাইরাসে যারা আক্রান্তহয়ে মারা যাবে সে সবের দায়-দায়িত্ব রুবানাকেই নিতে হবে। আর যদি আপনার সরকারের উচ্চমহল থেকে ডঃ রুবানাকে বাধ্য করা হয়শ্রমিকদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসতে তাহলে সে দায়-দায়িত্ব আপনার সরকারের। আপনার সরকার অবশ্য উভয় সংকটে। এসবশ্রমিকদেরকে কতদিন বসিয়ে রাখবেন? এদের তো না খেয়ে মারা যাওয়ার উপক্রম হবে। আমি জানিনা কি হবে শেষ পর্যন্ত। কারো তোকোনো গ্যারান্টি নেই। এই যে আমি আজ লিখছি, কাল যে আমাকে করনা ধরবেনা তার কোনো গ্যারান্টি আছে? বড় বিয়াদব এই করনা।কাউকে মানেনা। বরিস জনসনকে ধরেছে তো ছাড়তে চায়না। এখন শুনেছি বরিস জনসনকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে গেছে। আমি দোয়াকরি বাংলাদেশের মানুষসহ পৃথিবীর সব প্রাণীকুলকে আল্লাহতা’লা সেইভ করবেন। আপনাকেও সেইভ করুন। আপনার স্বাস্থ্যঅধিদফতরের মহাপরিচালক খুবই চালাক মানুষ, তিনি বলেছেন করনা ছড়িয়ে পড়লে মোকাবিলা করা অসম্ভব। আমি শুরু থেকেই সেটিবাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করতে চেয়েছি। কিন্তু তখন আপনার সরকারের কর্তা ব্যাক্তিরা ব্যস্ত ছিলেন দোষ ইটালী প্রবাসীদের ঘাড়েচাপিয়ে দিতে। আমি লন্ডনে দেখেছি বৃটিশ সরকার যতটুকু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা ছিল সেটি করেনি। তবে বৃটিশ সরকার যদিহিথ্রো বিমানবন্দর এবং বর্ডার বন্ধ করে দিত তাহলে এত মানুষ মারা যেতনা। আমার কাছে মনে হয়েছে বৃটেনে করনা দেখা দিয়েছিল সেইডিসেম্বর ২০১৯ এ। কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আপনি একা মানুষ কি করবেন? আপনার সাথের বেশীরভাগই হচ্ছে লুটেরা। বংশেটাকা দেখেনি। এখন সুযোগ এসেছে টাকা কামাই করার, করতে দিন। আর আপনার চামচাদেরকে বলুন মুখ বন্ধ করতে। বলুন মানুষসবই বুঝে। মানুষ এত বুকা না। ছিটা কি আর গুড় কি সবই মানুষ বুঝে।
বিঃদ্রঃ লেখা যখন শেষ করতে যাচ্ছি তখন ফোন করেছিলেন লন্ডনের বাঙালী কমিউনিটির প্রবীন সাংবাদিক রহমত আলী। রহমত ভাইবললেন সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে হবে? জিজ্ঞেস করেছি কেন? বলেছেন বেশ কিছু হলুদ সাংবাদিকরা যা ইচ্ছে তাই সংবাদ পরিবেশনকরছে। বিবিসি ওয়ানে যখন বরিস জনসনের টুইটের কথা বলছে তিনি আগের চাইতে অনেক বেটার ফিল করছেন তখন বাংলাফেসবুকের খবর হচ্ছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী শ্বাস নিতে পারছেন না। এসব সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।আর ঢাকায় বসে যারা বৃটেনের খবর নেয়ার চেষ্টা করেন তাদের প্রতি অনুরোধ একটু যাচাই বাচাই করে সংবাদটি প্রচার করবেন।অনেকেই লিড নিউজ প্রচার করতে গিয়ে ধরা খায়। বৃটেনে যারা বসবাস করছেন তারা করনা ভাইরাসের ব্যপারে ডাক্তার অথবা জিপিরসাথে যোগাযোগ করে পরমর্শ নেয়ার চেষ্টা করুন। আর ফেইসবুক এবং বাংলা টেলিভিশনে বসে যারা পরামর্শ দেন তাদেরকে বলবোডাক্তার হয়ে যান বেশী দিন তো সময় লাগেনা ডাক্তার হতে। তখন পরামর্শ দিবেন। এতই যখন শখ। আদা রসুন লেবু মধু গরম পানিখেলে করনা আসবেনা বা কমে যাবে যারা বলেন তাদেরকে অনুরোধ করছি দয়া করে হাইষ্ট্রিটে একটি সার্জারী খুলে বসে পড়ুন। তাহলেআপনার উপদেশও হলো সাথে কিছু টাকা পয়সাও রোজগার হলো, মানুষও বাচলো। আর ধরা খেলে অন্তত পুলিশ গিয়ে আপনাকেধরতে পারবে। সে যাক, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্যপারে অনেকেই চিন্তিত। কেউ কেউ বলছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চার্চ্চিলনাকি হার্ট এট্যাক করেছিলেন। এখন যদি বরিসের কিছু হয়ে যায় তাহলে তো আরেক সমস্যা হবে। অবশ্য সমালোচকরা বলছেন বরিসজনসন এখন ভালো হয়ে যাবেন। কারন মানবতার নেতা লেবার লিডার জেরেমী করবিন এতদিন বরিস জনসনকে উয়িশ করেননি।ফাইন্যালী জেরেমী করবীন উয়িশ করেছেন। যেমনিভাবে খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা ফাইন্যালী মুক্তি দিয়েছেন , আমার বিশ্বাস দুইনেত্রী যদি এক সাথে করনা মোকাবেলা করেন দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তাহলে এই মহামারী থেকে দেশবাসী মুক্তি পাবে। মৃত্যুর সংখ্যা কমহবে।
৬ এপ্রিল ২০২০ ইংরেজী সোমবার, লন্ডন
লেখক:
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
ইমেইল: rafcbanglastatement@yahoo.com