
◽️সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক থেকে◽️
জেগে ওঠো নিউইয়র্ক। কোলাহলমুখর পরিবেশে আবার নান্দনিক জীবনযাত্রায়, প্রাণের টানে। জীবনের ছন্দে ছন্দে সুখের নাচন যেনোদেখি এই শহরে। লাশের মিছিল যেনো আমাদের মনকে ভেঙ্গে চুরমার করছে। মানুষের মনকে দুঃখে– শোকে আলোড়িত করছে কী যে।করোনা ভাইরাসে খান খান করছে শহরকে। নিস্তব্ধতা শহরকে ভুতুড়ে করেছে, করেছে স্তব্ধ জীবনের চলা।
এই নিউইয়র্ক স্বপ্নের এক সুন্দর শহর। নাগরিক জীবন সুখ– আনন্দ নিয়ে বসবাস। দুঃখ–কষ্টেও পথচলায় জীবনের মিছিল এগিয়ে যায়সামনের দিকে। কাজে ছুটে চলা মানুষের ব্যস্ততা। পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন।
তারপরও এলো মহামারী আঙিনায়। করোনা ভাইরাসে ওলট পালট করে দেয় কি প্রচন্ড বেগে। ফাঁকা এখন চারদিক। ফাঁকা রেলষ্টেশন।ফাঁকা পার্ক, ফাঁকা রেস্তোরা।ফাঁকা রাস্তা, ফাঁকা গ্রোসারি।
বন্ধ স্কুল–কলেজ। মুখরিত জীবন আধাঁরে ঢাকা।
জীবনের এই ছন্দ পতনে থেমে গেছে সকল কলরব।
নিউইয়র্ক এর বাঙালি পাড়াও নিরব। নেই আড্ডা।
চায়ের রেষ্টুরেন্টের সেই চিরচেনা পরিবেশও নেই।
কাঁচামালের দোকানেও নেই ভিড়। অনেক দোকান বন্ধ হয়ে গেছে এর মধ্যে। ফার্মেসীতে লাইনে দাঁড়িয়ে ঔষুধ দেয়া হয়। বাংলা পেপারেরনেই ছড়াছড়ি। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে কেউ বের হয় না। লকডাউনের জীবনে নাগরিক জীবন বন্দি। হাসপাতালে নেই সিট।রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
ঘরে ঘরে সতর্ক জীবন যাপনে সকলে ব্যস্ত। সাবধনতা নিয়ে সতর্ক হয়ে বসবাস করছেন। বেশ কয়জন বাঙালি করোনা ভাইরাসে মারাগেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রচুর।বাঙালি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া।
এই অবস্হা কেটে আলোর জীবনে আবার ফিরে আসার জন্যে অধীর আগ্রহ। আবার জীবন যাত্রা হবে স্বাভাবিক। তার জন্য মনেরআকুতি, প্রাণের স্পন্দনে জেগে ওঠবে চারদিক–চারপাশ। কানে আসবে গাড়ির হর্ণ, আকাশে বিমানের ওড়াওড়ি। সুন্দর– সোনালি দিনআবার শহরকে যেনো রাঙিয়ে তুলে। সরব যেনো হয়ে ওঠে নিরব– নিস্তব্ধ শহর নিউইয়র্ক।
আল্লাহ তোমার করুণা চাই। জেগে ওঠুক আবার পৃথিবী।