
ফায়সাল আইয়ূব: রাত দিনের ভয়াবহ শব্দ দূষণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের কানের ও হার্টের চিকিৎসায় আর কিছুদিন পর ব্যয় হবে কোটি কোটি টাকা। বেনিফিটেড হবে চিকিৎসকেরা। এবং চিকিৎসকদেরও সমান সমস্যা হলে চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশে খরচ করবে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড ডলার ইউরো। এটাই মাইকিং, ওয়াজ নসিয়ত আর ছফিনাখতমের ফজিলত, বরকত, রহমত যাই বলি না কেনো।
বাংলাদেশের আলেমদের মতো এতো উঁচু স্বরে, এতো উত্তেজিত হয়ে, এতো ছাগলামি এতো পাগলামি করে, এতো ইতরামি করে, এতো বান্দ্রামি করে, এতো ঘৃণা বিদ্বেষ জিঘাংসা মনে পুষে ওয়াজ নসিয়ত করা, অন্যকে ঘায়েল করার মানসিকতা পৃথিবীর আর কোনো দেশের আলেমদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। উন্নত এবং অনুন্নত বেশ কয়েকটি দেশে ওয়াজ নসিয়ত এবং জুমার নামাজে অংশ গ্রহণের সুযোগ হয়েছে আমার।
বাংলাদেশের আলেমরা ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে প্রচার করে কিন্তু তাদের মাহফিলগুলো অশান্তির একেকটি অগ্নিকুণ্ড! তারা শান্তির বদলে মানুষের মনের মধ্যে জ্বেলে দেয় অশান্তির আগ্নেয়গিরি। ইসলামকে শান্তির ধর্ম আখ্যা দিয়ে তারা মানুষ হত্যায় মানুষকে প্ররোচিত করে। তারা মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বোডিংয়ে বোডিংয়ে বলাৎকার করে শিশুদেরকে। তারা মক্তবে পড়তে আসা পাঁচ বছরের কন্যা শিশুর যোনিপথ কেটে মসজিদে ধর্ষণ করে তাকে! তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে মিথ্যাচারকে জঘন্য অপরাধ উল্লেখ করে অগণিত মিথ্যাচার করে যায় মাহফিলে মাহফিলে দিনরাত; গাঁজাখুরি, মালখুরি, ঝালখুরি, বেইমানি তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে গেছে এখন।
বাংলাদেশের আলেমদের মতো এতো সুললিত মিথ্যাচার ও বেইমানি বোধহয় কোনো পেশাদার বেইমানও করতে পারে না; তাদেরকে আলেম না-বলে জাহিল জালেম বলা উচিত।