
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত গণভবনের ১৭ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে জমির লিজ দলিল সম্পন্ন হয়। ৫ আগস্ট এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত ‘চব্বিশের বর্ষা বিপ্লব’ বা ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত গণভবনকেই রূপান্তর করা হচ্ছে এই জাদুঘরে।
সরকার ইতোমধ্যেই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জাদুঘর নির্মাণ ও উন্নয়নে ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে জাদুঘর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন পেতে বিলম্ব হয়। অবশেষে ৮ জুলাই নকশা অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বেছে নেয়া হয়।
জমির মালিকানা হস্তান্তর সম্পর্কিত দলিলে দাতা হিসেবে স্বাক্ষর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং গ্রহীতা হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। জমির তফসিলে বলা হয়েছে, গণভবন ‘বি’ সেক্টরে, তেজগাঁও মৌজায় অবস্থিত প্লট নং-০৫; যার আয়তন ১৭.৪৬৭৯ একর।
জমিটি বিনা মূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রতিবছর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে তিন হাজার টাকা খাজনা দিতে হবে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া জমি হস্তান্তর বা স্থাপনায় পরিবর্তন আনা যাবে না।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জাদুঘরটি এমনভাবে সাজানো হচ্ছে, যাতে দর্শনার্থীরা বুঝতে পারেন কেন জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল, কীভাবে দীর্ঘ ১৬ বছর দুঃশাসন চলেছে এবং ছাত্র-জনতা কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। জাদুঘরে থাকবে শহীদদের ব্যবহৃত পোশাক, চিঠি, সংবাদপত্রের কাটিং, অডিও-ভিডিও দলিল এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ভিডিওচিত্রও।
জাদুঘরটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।