
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের জারি করা নতুন অধ্যাদেশে নির্বাচন কমিশনকে বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগে প্রতি বছর ১ জানুয়ারিকে ভিত্তি ধরে ২ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হতো। ফলে নির্বাচন কমিশনকে ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য তফসিল ঘোষণার আগে হালনাগাদ তালিকা প্রকাশে আইনি জটিলতায় পড়তে হচ্ছিল।
তবে নতুন এই ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ বিধান যুক্ত হয়েছে—কমিশন প্রয়োজন মনে করলে বছরের যেকোনো সময় তালিকা সংশোধন ও প্রকাশ করতে পারবে।
কী পরিবর্তন হলো আইনে?
২০০৯ সালের ভোটার তালিকা আইনের ধারা ৩(জ)-তে ‘১ জানুয়ারি’ তারিখের পরে যুক্ত করা হয়েছে:
‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’
ধারা ১১-তে নতুন উপধারা যোগ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে:
যেসব নাগরিক ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা যে কোনো সময় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন
মৃত বা অযোগ্যদের নাম কর্তন এবং স্থান পরিবর্তন করা ব্যক্তিদের নতুন ঠিকানায় তালিকাভুক্তির সুযোগ থাকবে।
এমনকি নির্ধারিত সময়সীমায় হালনাগাদ না হলেও তালিকার বৈধতা নষ্ট হবে না
প্রেক্ষাপট:
এ বছর ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এতে নতুন করে সাড়ে ৪৪ লাখ নাগরিকের তথ্য নিবন্ধিত হয়। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, এ তালিকা প্রকাশ করতে হলে ২০২৬ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। ফলে আইন সংশোধন ছিল সময়োপযোগী ও নির্বাচন-প্রস্তুতির জন্য জরুরি।