ইউকে শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের ইতিবাচক মনোভাবকে স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাস যে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখিয়েছে, তা ‘ভালো খবর’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি এখনও আলোচনা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানি না। তবে হামাসের ইতিবাচক সাড়া একটি ভালো পদক্ষেপ।”

এর আগে ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, “যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্য আমরা প্রস্তুত।”

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, হামাস প্রস্তাবের মূল কাঠামোর সঙ্গে একমত হলেও কয়েকটি সংশোধনী চেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং যুদ্ধবিরতা ব্যর্থ হলেও ইসরায়েলের পুনঃআক্রমণ না করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লিখিত নিশ্চয়তা।

নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় জীবিত অন্তত ১০ জন এবং মৃত ১৮ জন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির সময় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।

হামাস অবশ্য জিএইচএফ (গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন)-এর বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, কেবল জাতিসংঘ ও অংশীদার সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত।

এছাড়া গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে হামাস পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। তারা চায়, মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার আগে ইসরায়েলি বাহিনী যেখানে ছিল, অবিলম্বে তাদের সেখানেই ফিরে যেতে হবে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তে সম্মত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগেও বারবার বলে এসেছেন, হামাসের সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে এবং সব জিম্মির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে হামাসের প্রতিক্রিয়া ও মার্কিন অবস্থান আশার সঞ্চার করলেও চূড়ান্ত সমাধান এখনও অনিশ্চিত। আলোচনার অগ্রগতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর ওপর।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ