ইউকে শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

অপ্রত্যাশিত ধসের আক্ষেপে তাসকিন

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ শুরু করেও হারের হতাশায় ডুবেছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ২৪৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭তম ওভারে স্কোরবোর্ডে যখন ১ উইকেটে ১০০ রান, তখন জয়ের স্বপ্নই দেখছিল টাইগাররা। কিন্তু সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়। এক অবিশ্বাস্য ধসে মাত্র পাঁচ রানের মধ্যে সাতটি উইকেট হারিয়ে ১০৭ রানে পৌঁছায় দলটি—পুরুষদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ধসের রেকর্ড এটি।

ম্যাচ শেষে পেসার তাসকিন আহমেদ এই ধসকে ‘বেদনার এবং অপ্রত্যাশিত’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দারুণ শুরু হয়েছিল। সাত উইকেট পাঁচ রানে হারানো… এটা ভাবতেও পারিনি। খুবই কঠিন এক হারের অনুভূতি।’

তাসকিনের মতে, প্রেমদাসার উইকেট ততটা কঠিন ছিল না। শেষদিকে জাকের আলীর ব্যাটিং পারফরম্যান্সের দিকটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাকের শেষদিকে অসাধারণ খেলেছে। ওর সঙ্গে যদি দুই-তিনজন ব্যাটার থেকে যেত, আমরা জিততেই পারতাম। উইকেট তেমন কঠিন ছিল না। এটি আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা।’

তিনি আরও জানান, এমন ধসের সময় তিনি ড্রেসিংরুমে বসে কফি উপভোগ করছিলেন। হঠাৎ একের পর এক উইকেট পড়তে দেখে হতবাক হয়ে যান। ‘আমি কফি নিয়ে বসে ছিলাম, হঠাৎ দেখি পাঁচ উইকেট পড়ে গেছে। আসলে ক্রিকেটে অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকে। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’

তাসকিন স্বীকার করেন, দারুণ শুরুর পর দলের মধ্যে শিথিলতা চলে আসে, যা শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। ‘শুরুর পর আমরা একটু বেশি স্বস্তিতে ছিলাম। শান্তর রানআউট, তারপর তামিমের আউট হওয়া—সবকিছু বদলে দেয়। আমরা তখন স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি, চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ১৫-২০ জনই আমাদের সেরা ক্রিকেটার। তবে ব্যাটিং, বোলিং এবং গেম অ্যাওয়ারনেসে আমরা শীর্ষ দলগুলোর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছি। সবাই চেষ্টা করছে, পরিবেশ এবং সংস্কৃতি উন্নত করতে কাজ করছি। এই পরিবর্তনের সময় হয়তো একটু বেশি সময় নিচ্ছে, কিন্তু এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’’

বাংলাদেশের এই ধস ক্রিকেট ইতিহাসে তিক্ত এক অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে। তবে তাসকিনের আশা, দলের সবাই এই ধস থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে আরও শক্তভাবে ফিরে আসবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ