
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের জীবনকে প্রায়ই কল্পকাহিনির সঙ্গে তুলনা করা হয়, আর সাবেক সেই ক্রিকেটারের জীবনে এমন এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল, যা সিনেমাকেও হার মানায়। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর তিনি জনপ্রিয় রেসলিং প্রতিযোগিতা ডব্লিউডব্লিউই (WWE) রিংয়ে নাম লিখিয়ে ফেলার পর্যায়ে ছিলেন ‘বিগ ফ্রেড’ নামে!
২০০৯ সালে প্রথমবার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ফ্লিনটফ। এরপর ২০১৪ সালে সব ধরনের ক্রিকেটকে চূড়ান্ত বিদায় জানান। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পরিবার নিয়ে দুবাই চলে যান। তখনই হঠাৎ জীবনে আসে WWE-তে নাম লেখানোর প্রস্তাব।
‘দ্য ওভারল্যাপ’ অনুষ্ঠানে ফ্লিনটফ জানিয়েছেন, দুবাইয়ে বসে তিনি ভাবছিলেন, ‘এখন কী করব?’ তখনই টিভি শো ‘আ লিগ অব দেয়ার ওন’-এর জন্য মজা করতে করতে আন্ডারটেকারের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেটিই পরে WWE-র কাছে পৌঁছে যায়।
ফ্লিনটফ বলেন, ‘শৈশবে WWE খুব পছন্দ করতাম। তখন ফিটনেসের জন্য কিছু দরকার ছিল। ভাবলাম আন্ডারটেকারের সঙ্গে ম্যানচেস্টারে লড়াই করব। পরে দেখি, এটা সত্যিই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। তৎকালীন WWE-এর মালিক ভিন্স ম্যাকমোহনের সঙ্গে কথাও হয়েছে। আমাকে তিন বছরের জন্য ‘অবিশ্বাস্য’ পরিমাণ অর্থের চুক্তির প্রস্তাব করা হয়।’
রেসলিং একাডেমিতে ট্রায়াল দিতে গিয়ে অবশ্য ভেঙে ফেলেন পাঁজরের হাড়। তবুও WWE তাকে চুক্তির প্রস্তাব দেয় এবং প্রতিশ্রুতি দেয় ১৮ মাসের মধ্যে তাকে রেসলিংয়ের বড় দুই ইভেন্ট রেসেলমেনিয়া ও রয়্যাল রাম্বেলে নিয়ে যাওয়া হবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্লিনটফ পরিবারকেই প্রাধান্য দেন। সন্তানদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ এবং আমেরিকায় না যাওয়ার ইচ্ছার কারণে WWE প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
পরে বক্সিংয়ে পা রাখেন এবং একটি লড়াইও করেন। বর্তমানে ফ্লিনটফ ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন। ২০২২ সালে টপ গিয়ার অনুষ্ঠানের গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন।
সেখান থেকে সেরে উঠে ২০২৩ সালে আবারও ক্রিকেট সেট-আপে ফিরেছেন।
ফ্লিনটফের কথায় স্পষ্ট, ক্রিকেট মাঠের বাইরে ‘বিগ ফ্রেড’ নামে WWE রিং কাঁপানোর সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন ঠিকই, তবে শেষমেশ জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন পরিবারের জন্য।