
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে গর্বের নতুন অধ্যায় লিখেছে। মিয়ানমারকে হারিয়ে বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের মূল পর্বের টিকিট। এই সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও বড় স্বপ্ন—২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সুযোগ।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০২৬ সালের মার্চে শুরু হতে যাওয়া এই এশিয়ান কাপ আসরটি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবেও কাজ করবে। ফলে টুর্নামেন্টে ভালো করলে বিশ্ব মঞ্চে খেলার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে ঋতুপর্ণা চাকমাদের।
বাংলাদেশ এশিয়ান কাপের ইতিহাসে ২৩তম দল হিসেবে নাম লিখিয়েছে। এখন পর্যন্ত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ—এই পাঁচটি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বাকি সাতটি দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
মূল পর্বে ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। গ্রুপ পর্বের পর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ, সঙ্গে সেরা দুটি তৃতীয় স্থানের দল। সেখান থেকে সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি পাবে ২০২৭ বিশ্বকাপের টিকিট। কোয়ার্টারে হেরে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে দুটি দল আরও একটি সুযোগ পাবে প্লে-ইন ম্যাচের মাধ্যমে।
বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০২৬ এশিয়ান কাপের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ঠিক হবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে কারা খেলবে। এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সেই বাছাইপর্বে অংশ নেবে।
ঋতুপর্ণা ও তার দলকে সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ঠিকই, তবে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে এই অর্জন সোনার হরফে লেখা থাকবে। এখন সবার চোখ ২৯ জুলাই সিডনিতে অনুষ্ঠেয় ড্রয়ের দিকে, যেখানে জানা যাবে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গীদের নাম।
এখন দেখা যাক, এশিয়ান কাপের মঞ্চে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপের মঞ্চে ছুঁতে পারে কিনা এই লাল-সবুজের মেয়েরা।