ইউকে সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

চুরি করা গম কেনার অভিযোগে বাংলাদেশি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে ‘চুরি করা’ গম কেনার অভিযোগ এনে বাংলাদেশি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে ইউক্রেন। দেশটির দাবি, এসব গম ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করে রাশিয়া বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে।

ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারকে অন্তত চারটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কোনো জবাব না পাওয়ায় ইউক্রেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছে।
রয়টার্সের বরাত দিয়ে জানা যায়, রাশিয়ার কাভকাজ বন্দর থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম বাংলাদেশে এসেছে, যার উৎস ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল। ইউক্রেন দাবি করছে, এই গমগুলো রাশিয়া ইউক্রেন থেকে চুরি করে নিজেদের গমের সঙ্গে মিশিয়ে রপ্তানি করেছে।

দিল্লিস্থ ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশকুক বলেছেন, “এটি একটি অপরাধ। আমরা আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহকর্মীদের জানাব এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাব।”

একটি বাংলাদেশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ কখনও চুরি করা গম আমদানি করেনি এবং এসব গমের উৎস নির্ধারণ করা অত্যন্ত কঠিন।

ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেভাস্তোপোল, কার্চ ও বার্দিয়াঙ্কস্ক বন্দর থেকে জাহাজগুলো রওনা হয় এবং ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।

২০২৫ সালের ১১ জুন এক চিঠিতে ইউক্রেন বাংলাদেশকে সতর্ক করে জানায়, এসব গম গ্রহণ করলে ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হতে পারে এবং এই গম কেনা বিশ্বব্যাপী ‘মানবিক দুর্ভোগ’ বাড়ায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মুখপাত্র এনিটা হিপার বলেন, ইউক্রেন যেসব জাহাজের নাম দিয়েছে সেগুলোর ওপর বর্তমানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

রাশিয়ার এক ব্যবসায়ী জানান, এসব গমের উৎপত্তি কোথায় তা বোঝা কঠিন, কারণ গম লোডিংয়ের সময় উৎস শনাক্ত করার উপায় থাকে না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ