ইউকে শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

চীন-রাশিয়ার কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্র কিনবে ইরান?

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :টানা ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই বিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এবারের সংঘাতে ইরান টিকে থাকলেও সামরিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ইরান এখন তার সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে মনোযোগ দেবে। এজন্য তারা রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে উন্নত অস্ত্র ও প্রযুক্তি সংগ্রহ করতে পারে।

ইরান মূলত উন্নত মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে সেই তুলনায় দেশটির বিমান প্রযুক্তি বেশ পুরোনো এবং এর নৌশক্তিও অত্যাধুনিক নয়। এছাড়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় দেশটি তার আকাশ রক্ষা করতে পারেনি। ফলে লড়াইয়ের শুরুতেই ইরানের আকাশ দখল করে নেয় ইসরায়েল।

একদিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বিমান হামলা শনাক্ত বা কার্যকরভাবে ঠেকাতে পারেনি। অন্যদিকে দুর্বল যুদ্ধ বিমানগুলোও আকাশে উড়ে ইসরায়েলের বিমান থামানোর চেষ্টা করেনি। বরং ঘাঁটিতে থাকা অবস্থাতেই বেশ কিছু বিমান ধ্বংস হয়েছে। তবে ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলকে চমকে দিয়েছে। এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষতির মুখেও পড়েছে ইসরায়েল।

তুরস্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মুরাত আসলানের মতে, সংঘাত আপাতত থামার পর ইরান এখন চেষ্টা করবে সামরিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর। এক্ষেত্রে তার বড় ভরসা হবে চীন-রাশিয়া।

তিনি বলেন, ‘ইরানের সামনে এখন তিনটি বড় কাজ। প্রথমটি হচ্ছে, ইরান রাষ্ট্রটি নানা বিভক্তির কারণে ভেতর থেকেই দুর্বল। এখন তারা বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য আনার উদ্যোগ নেবে।’

দ্বিতীয় হচ্ছে, ‘ইরান এখন রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসইউ-থার্টি ফাইভ বিমান কেনা শুরু করবে। তাদের মধ্যে যেহেতু চুক্তি আছে, এটা কয়েকমাসের মধ্যেই ঘটতে পারে।’

তৃতীয় হচ্ছে, ‘ইরান এখন চীনের দিকে ঝুঁকবে আকাশ প্রতিরক্ষার প্রযুক্তি, রাডার ব্যবস্থা এবং অস্ত্র কিনতে।’

তবে চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে। তাছাড়া দেশটির অর্থনীতিও আরও দুর্বল হয়েছে। ফলে চীন-রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তি কিনতে হলে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে ইরানকে। ইরানের পক্ষে কি এখন সেটা সম্ভব?

মুরাত আসলান বলেন ‘ইরানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু ইরান টাকা দিয়ে কোনো অস্ত্র কিনবে না। তাদের আছে অফুরন্ত জ্বালানি তেল। তারা অস্ত্র নেবে, কিন্তু বিনিময়ে টাকার বদলে তেল দেবে।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ