
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পাঁচ দফা দাবির দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে তারা হল ছাড়বেন না। শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিলেও তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো:
১. ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজেট পাস করতে হবে।
২. নতুন আবাসন ব্যবস্থা তৈরির আগ পর্যন্ত বসবাসের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. নতুন আবাসন ও বিকল্প আবাসনের বাজেট আলাদাভাবে পাস করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. পুরনো একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র স্থানান্তর এবং নতুন ভবনের জন্য বাজেট পাস করতে হবে।
৫. কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নিযুক্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং কলেজ প্রশাসনের একতরফা নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর আগে শনিবার সকাল থেকে তারা পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেন।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। তবে নতুন ব্যাচকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে, পেশাগত পরীক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর আওতামুক্ত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, ২৮ মে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস সংকট নিরসনে নতুন আবাসন, বাজেট পাস, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা, বিকল্প আবাসন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা অনেকবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং স্মারকলিপি দিয়েছেন, কিন্তু কার্যকর আশ্বাস পাননি। তারা সমস্যার সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবাকার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালু থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।