
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ইসরাইলের সঙ্গে তীব্র সংঘাতে ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তেহরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে গত সপ্তাহে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ২২৪ জন। তবে বাস্তব পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানায়, এই সংঘাতে অন্তত ৬৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সংঘাতের অব্যাহত পরিস্থিতি, তথ্যসংগ্রহে অসুবিধা এবং পৃথক উৎসের হিসাবের কারণে এই সংখ্যাগুলোয় বেশ ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে তাদের দেশে ২৪ থেকে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ হাজার ৫১৭ জন। নিহতদের মধ্যে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে তারা।
এদিকে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ‘খুবই বিপজ্জনক’ হবে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি বলেছেন, আমাদের জনগণের ওপর যখন বোমা হামলা করা হচ্ছে তখন আমরা আলোচনায় যেতে পারি না। তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই আগ্রাসনে প্রথম দিন থেকেই যুক্ত আছে। যদিও এই দাবির পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেননি।
অবশ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে রাজি হয়, তাহলে তিনি হামলা থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানের পথ খুঁজতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আরাঘচি আরও বলেন, কূটনীতি অতীতেও কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও কাজ করতে পারে। তবে কূটনীতিতে ফিরে আসতে হলে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।