
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। যানজট ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঈদযাত্রা এবং কোরবানির পশুরহাট ঘিরে বিশেষ ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদে ঢাকা ছাড়বেন এক কোটির বেশি মানুষ এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করবেন। এ পরিস্থিতিতে রাজধানী ও আশপাশের যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।
১. পশুরহাটের ইজারায় উল্লিখিত সীমানা ও স্কেচ ম্যাপের বাইরে সড়কের ওপর কোনোভাবেই কোরবানির পশু কেনা-বেচা ও লোড-আনলোড করা যাবে না। ২. কোরবানির পশু পরিবহনকারী যানবাহন আনলোড করার জন্য এবং বিক্রয়কৃত পশু লোড করার জন্য হাটের ভেতর পৃথক জায়গা খালি রাখতে হবে। যদি হাটে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তবে নিকটবর্তী কোনো জায়গায় পৃথক আনলোড এবং বিক্রিত পশু লোড করার স্থান নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে। ৩. সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন হাটে কোরবানির পশু যাবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হাটের নাম সম্বলিত ব্যানার ট্রাকের সম্মুখে টাঙাতে হবে। ৪. হাইওয়ে বা গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে কোনো পশুরহাট ইজারা না দেয়া। ৫. যদি কোনো পশুরহাট ঢাকা মহানগরের ফিডার রোড/সরু রোডের পাশে ইজারা দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই সড়ক ও হাটের মাঝে ৬ ফুট উঁচু প্রাচীর স্থাপন করতে হবে এবং সুবিধাজনক জায়গায় এন্ট্রি ও পৃথক এক্সিট রাখতে হবে। ৬. পশুরহাট সংলগ্ন সড়কসমূহে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে সহযোগিতার জন্য ইজারাদাররা পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী/স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। ৭. পশুরহাটে গমনাগমনকারী সড়কে কোনোক্রমেই ক্রেতাদের গাড়ি, পশুবাহী ট্রাক/পিকআপ ভ্যান পার্ক করা যাবে না। কেউ পার্কিং করলে তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হবে। ৮. পশুরহাটের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা না করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৯. সড়কের ওপরে যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই না করে যথাসম্ভব নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে।
ডিএমপি নগরবাসীকে ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে, যেন ঈদের আনন্দ বিঘ্নিত না হয় এবং কোরবানির প্রস্তুতিও নির্বিঘ্ন থাকে।