
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল টকশোতে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু দাবি করেন, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৫০ থেকে ৭০টি আসন নিয়ে পর্দার অন্তরালে আলোচনা করেছে। তিনি বলেন, এমন সমঝোতা হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হয়ে যেতে পারে।
এ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “উল্লেখিত দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এনসিপি বিএনপি কিংবা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি একটি সংগঠনতান্ত্রিক দল হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের বিস্তার এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কাজ করছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে এনসিপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”
হাসনাত আব্দুল্লাহর মতে, এনসিপিকে ঘিরে একটি ‘ভিত্তিহীন ইম্প্রেশন’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে—যেখানে দলটিকে নির্বাচন পেছানোর পক্ষে দেখানো হচ্ছে। অথচ আত্মপ্রকাশের শুরু থেকেই এনসিপি বিচার, সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দাবি করে আসছে।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত ভুয়া নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়নি। তাই আসন্ন নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এ জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত ও প্রশাসনিক সংস্কার অপরিহার্য।”
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আরও যোগ করেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে সংস্কারহীন নির্বাচন হবে একচেটিয়া ও একপেশে।”
হাসনাতের ভাষায়, “গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নয়, বরং ‘জুলাই চার্টার’ অনুযায়ী মৌলিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে অর্থবহ নির্বাচনই হোক গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নয়, বরং যুক্তি, নীতি ও রোডম্যাপ ভিত্তিক আলোচনায় সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”