
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য ব্যবহৃত একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন রেড ক্রস কর্মী এবং এক সাংবাদিকও রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৬ মে) স্থানীয় সময় ভোরে গাজা শহরের ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে নেতানিয়াহু বাহিনী বোমাবর্ষণ করে। স্কুলটি গাজার বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখা গেছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো যাচাই করতে পারেনি। নিহতদের মধ্যে মাত্র ১১ বছর বয়সী গাজার কনিষ্ঠতম সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও রয়েছেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, বোমা হামলার ফলে স্কুলে লাগা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। হামলায় স্কুলটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকা রয়েছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
মে মাসের শুরুতে গাজায় হামলা জোরদার করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার মুখে ইসরায়েলকে সাহায্য সরবরাহের ওপর অবরোধ তুলে নিতে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েল পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে।
স্থানীয় সময় রোববার (২৫ মে) গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি স্থল অভিযান ও দখলদার বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল। এসব এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয় ফিলিস্তিনিদের।
এতে করে, গাজার ক্ষুদ্র একটি অংশের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এমন পরিস্থিতিতে, দখলদারি বন্ধে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে বাসিন্দারা।
এদিকে, স্পেনের নেতৃত্বে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের ২০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাদ্রিদে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ থামানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে। স্পেন বলেছে, এই যুদ্ধের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবিলম্বে অবরোধ ভেঙ্গে খাদ্য গাজায় প্রবেশ করতে দিতে ইসরায়েলের কাছে আহ্বান জানায় তারা।