
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :‘জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে’, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (এনপিপি) সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলী রীয়াজ বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য আমাদের সুনির্দিষ্ট ও সময়বদ্ধ একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন। রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্নমতের হলেও জাতীয় স্বার্থে, গণতান্ত্রিক কাঠামো গঠনের প্রশ্নে সবাই কিছুটা ছাড় দেবে বলে আমরা আশা করি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা রাষ্ট্র ও জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ। সব বিষয়ে মতৈক্য সম্ভব না হলেও, রাষ্ট্র পুনর্গঠন, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি তৈরির ক্ষেত্রে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব, এটাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা।”
সংলাপে এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে দলটি ১১২টিতে একমত, ২৬টিতে একমত নয় এবং ২৮টি প্রস্তাবে আংশিক একমত। তিনি বলেন, “একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে তা নানা সংকট তৈরি করে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আশা করি, এমন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভোটাররা স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কোনো জবরদস্তি বা টাকার প্রভাব ছাড়া জনগণ নিজেরা সরকার গঠনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান।