
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :চট্টগ্রামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাকস্বাধীনতা খর্ব করবে না এবং সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে না। তিনি বলেন, “আমরা সাংবাদিকদের চাকরি খাইনি, চাকরি দিচ্ছিও না। কেউ যদি চাকরি হারান, সেটি আমাদের কারণে নয়। সাংবাদিকদের আমরা আন্দোলন থেকে বিরত করতে চাই না, তবে সত্যের পক্ষে অবস্থান নিতে বলছি।”
শুক্রবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব জানান, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের পথে হাঁটছে না। তিনি বলেন, “অধ্যাপক ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর সব সম্পাদককে ডেকে বলেছেন, আপনারা মন খুলে লিখুন। আমরা ভুল করতে পারি, আপনাদের কাজ সেগুলো তুলে ধরা।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখন যারা প্রকৃত সাংবাদিকতা করছেন, তাদের জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আগে আসেনি। আমরা কারও মুখ বন্ধ করছি না, কলম ভাঙছি না, কিংবা কোনো ছাপাখানায় গিয়ে তালা লাগাচ্ছি না।”
অপতথ্য ছড়ানোর বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “জুলাইয়ের পরিবর্তনের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে অপতথ্য। এর পেছনে রয়েছে দুটি বড় শক্তি রয়েছে, একটি ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম, আরেকটি আওয়ামী লীগের সমর্থক গোষ্ঠী। তারা মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে প্রতিদিন মিথ্যা ভিডিও ছড়াচ্ছে।”
তার ভাষ্য অনুযায়ী, “নিউজ কনজিউমের ধরণ পাল্টে যাওয়ায় মানুষ অনেক সময় বুঝতেই পারছে না কোনটি সত্য, কোনটি বিভ্রান্তিকর। ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সমাজে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে, যা সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।”
তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এখন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে অংশ নিচ্ছে কিছু মিডিয়া, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নিয়মিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে।