ইউকে বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
হেডলাইন

নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়স ন্যূনতম ২৩ করার প্রস্তাব গণ অধিকার পরিষদের

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :গণ অধিকার পরিষদ জাতীয় সংসদের মেয়াদ চার বছর এবং সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২৩ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে। আজ, সোমবার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের সভাপতি নুরুল হক এই দাবি জানান। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা করছে।

নুরুল হক বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে বাংলাদেশের জনগণ ব্যাপকভাবে দমন-পীড়িত ছিল। ৫৩ বছরের বাস্তবতায় আমাদের রাষ্ট্রকাঠামোতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন এক বিরল পরিস্থিতিতে আমাদের ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা করে সংস্কারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে।”

গণ অধিকার পরিষদ পাঁচটি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১২৭টির সঙ্গে একমত হলেও, আজকের আলোচনায় তারা নতুন আটটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে। এছাড়া সাতটি প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত এবং ২৩টির সঙ্গে আংশিক একমত হওয়ার কথা জানায় দলটি।

মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে নুরুল হক বলেন, ছয় মাসের ছুটি যথেষ্ট নয়, এবং সন্তানের লালন-পালনে নারীদের জন্য ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি দুই বছর পর্যন্ত অফিস সময় অর্ধেক করার প্রস্তাবও তারা দিয়েছে। সংবিধান সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের মতামতের পাশাপাশি গণভোটের প্রস্তাবও জানানো হয়।

সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে দলটির অবস্থান হলো, অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।

এছাড়া, এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ’ করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। নুরুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং তিন বাহিনীর প্রধানের পাশাপাশি পুলিশপ্রধানকে এতে যুক্ত করা প্রয়োজন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আয়োজনের প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা। ছাত্র এবং শ্রমিক সংগঠনকে রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত রাখার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত জানিয়ে, পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও একইভাবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে, নুরুল হক বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন পেতে হলে অন্তত তিন থেকে চার বছর সক্রিয় থাকতে হবে।

কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়, যা ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে সংস্কার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে, তবে সকলের একত্র থাকতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ