ইউকে শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
হেডলাইন

ইতিহাসে প্রথমবার ৩৫০০ ডলারে পৌঁছালো সোনার দাম

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করার জেরে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এর প্রভাবে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোনার দাম প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।

বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে বিশ্ববাজারে স্পট গোল্ডের দাম ০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৪৫২ দশমিক ১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। তার কিছুক্ষণ আগেই এর দাম পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩ হাজার ৫০০ দশমিক ০৫ ডলারে।

এদিন যুক্তরাষ্ট্রের সোনার ফিউচার মূল্য ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৫০ ডলার। জার্মানির হেরায়াস মেটালসের মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার জুম্ফে বলেন, সোনার দামের সাম্প্রতিক এই ঊর্ধ্বগতির মূল কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফেড চেয়ারম্যান পাওয়েলের ওপর প্রকাশ্য আক্রমণ। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আর্থিক নীতির উদ্বেগ অব্যাহত থাকায় সোনার চাহিদা আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান, এখন সোনার দামে ৩ হাজার ৪৫০ এবং ৩ হাজার ৪০০ ডলার হলো গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক স্তর। মানসিকভাবে পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ ডলার।

ট্রাম্প সম্প্রতি সুদের হার কমানোর দাবিতে ফেড চেয়ারম্যানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এতে সোমবার ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারবাজারে প্রায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ পতন ঘটে এবং ডলারের দাম তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামে। ডলারের দাম কমে যাওয়ায় অন্য দেশের ক্রেতাদের জন্য সোনার দাম তুলনামূলক কমে আসে। স্টোনএক্স-এর বিশ্লেষক রোনা ও’কনেল বলেন, সাধারণত শেয়ারবাজারে এমন পতনের সময় বিনিয়োগকারীরা সোনা বিক্রি করেন। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে—বিনিয়োগকারীরা বরং সোনার দিকেই ছুটছেন। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সাধারণত সোনাকে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিন, স্পট সিলভারের দাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪১ ডলারে। এছাড়া প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯৬৮ দশমিক ১৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৯৪২ দশমিক ৬৭ ডলারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

  • চিকেনস নেকের কাছে সামরিক মহড়া করেছে ভারত। ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ এ মহড়া চালানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীর অববাহিকায় ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ ভারতের সামরিক বাহিনী তাদের ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে সম্প্রতি একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে। ‘তিস্তাপ্রহার’ নামে এ মহড়া চালানো হয়েছে।  বিবিসি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে ০৮ থেকে ১০ মে তিনদিন এ মহড়া চালিয়েছে ভারত। ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছেই এ মহড়া চালানো হয়েছে। চিকেনস নেকের কাছে ভারতের সামরিক মহড়া ‘তিস্তা প্রহার’ উত্তেজনার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের বিরল পদক্ষেপ  গৌহাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানান, তিস্তা প্রহার মহড়ায় নদীবিধৌত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি কতটা তা প্রদর্শিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, এই মহড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাকটিক্যাল ড্রিল ও খুব দ্রুত অভিযান চালানোর ক্ষমতাই আরও একবার ‘ভ্যালিডেট’ (বৈধতা দেওয়া) করেছে। এটি তাদের উৎকর্ষ ও আধুনিকায়নের প্রমাণ।  সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘তিস্তা প্রহারের’ বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করতে দেখা গেছে।  দিল্লিতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের এ মহড়াকে ‘রুটিন এক্সারসাইজ’ বলা যাবে না। কারণ তিস্তার অববাহিকায় এ ধরনের মহড়া সাম্প্রতিক কালের মধ্যে কখনোই হয়নি।  লন্ডনভিত্তিক জিওপলিটিক্যাল বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকারের মতে, এই সামরিক মহড়ার মধ্যে দিয়ে ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভারত একটা বার্তা দিতে চেয়েছে। এর মধ্যে একটা সূক্ষ প্ররোচনার উপাদানও হয়তো আছে। এ ব্যাপারটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে খুশি করবে না।
    চিকেনস নেকের কাছে সামরিক মহড়া করেছে ভারত। ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ এ মহড়া চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীর অববাহিকায় ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ ভারতের সামরিক বাহিনী তাদের ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে সম্প্রতি একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে। ‘তিস্তাপ্রহার’ নামে এ মহড়া চালানো হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে ০৮ থেকে ১০ মে তিনদিন এ মহড়া চালিয়েছে ভারত। ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছেই এ মহড়া চালানো হয়েছে। চিকেনস নেকের কাছে ভারতের সামরিক মহড়া ‘তিস্তা প্রহার’ উত্তেজনার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের বিরল পদক্ষেপ গৌহাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানান, তিস্তা প্রহার মহড়ায় নদীবিধৌত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি কতটা তা প্রদর্শিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, এই মহড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাকটিক্যাল ড্রিল ও খুব দ্রুত অভিযান চালানোর ক্ষমতাই আরও একবার ‘ভ্যালিডেট’ (বৈধতা দেওয়া) করেছে। এটি তাদের উৎকর্ষ ও আধুনিকায়নের প্রমাণ। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘তিস্তা প্রহারের’ বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। দিল্লিতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের এ মহড়াকে ‘রুটিন এক্সারসাইজ’ বলা যাবে না। কারণ তিস্তার অববাহিকায় এ ধরনের মহড়া সাম্প্রতিক কালের মধ্যে কখনোই হয়নি। লন্ডনভিত্তিক জিওপলিটিক্যাল বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকারের মতে, এই সামরিক মহড়ার মধ্যে দিয়ে ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভারত একটা বার্তা দিতে চেয়েছে। এর মধ্যে একটা সূক্ষ প্ররোচনার উপাদানও হয়তো আছে। এ ব্যাপারটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে খুশি করবে না।
  • ‘সব দোষ পাকিস্তানিদের’
  • মানবাকৃতিতে জে-১০সি বানিয়ে পাকিস্তানের বাহিনীকে শ্রদ্ধা
  • ‘সুপার পাওয়ার’ ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান
  • ভারত যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা নাও করতে পারে : বিলাওয়াল
  • পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত, এরপর?
  • সর্বশেষ সংবাদ