
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে দীর্ঘদিন পর ফিরছে ক্রিকেট, তবে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই অংশ নিতে পারবে মাত্র ছয়টি করে দল। এই সীমিত সুযোগের ফলে অলিম্পিকে জায়গা করে নেওয়া হয়ে উঠেছে কড়া প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দেশের জন্য।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ভারতের অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারত বর্তমানে পুরুষদের আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। নারীদের বিভাগেও হারমানপ্রিত কৌরের দল আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরেই, তৃতীয় স্থানে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ রয়েছে চাপের মধ্যে। পুরুষ ও নারী—উভয় দলই বর্তমানে নবম স্থানে অবস্থান করছে র্যাঙ্কিংয়ে। যদি অলিম্পিকের জন্য আইসিসি সরাসরি র্যাঙ্কিং অনুসারে দল বাছাই করে, তবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অনিশ্চিতই থেকে যাচ্ছে।
যদিও ফুটবলে অলিম্পিকের জন্য আলাদা বাছাইপর্ব থাকে, ক্রিকেটে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে যে স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি খেলবে, তাহলে বাকি ৫টি দলের জন্যই থাকবে মূল প্রতিযোগিতা।
এক্ষেত্রে ২০২২ সালের কমনওয়েলথ গেমস একটি ভালো রেফারেন্স হতে পারে, যেখানে নারীদের টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও বারবাডোস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ অঞ্চল থেকে) সরাসরি খেলেছিল। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচ দলও অংশ নেয় বাছাইপর্ব ছাড়াই, এবং শ্রীলঙ্কা সুযোগ পায় বাছাই খেলে। ২০২৮ অলিম্পিকেও যদি এমন ফরম্যাট অনুসরণ করা হয়, তবে বাংলাদেশকে কঠিন বাছাইপর্বে লড়াই করেই জায়গা পেতে হবে।
এদিকে, ম্যাচ সম্প্রচারের সুবিধার্থে আয়োজকরা ভাবছে খেলা লস অ্যাঞ্জেলেসের বদলে নিউ ইয়র্কে সরিয়ে নেওয়ার কথা। ভারতের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নিউ ইয়র্ক বেশি সুবিধাজনক, কারণ ভারত নিউ ইয়র্কের চেয়ে ৯.৫ ঘণ্টা এগিয়ে, আর এলএ-এর চেয়ে এগিয়ে ১২.৫ ঘণ্টা। এর ফলে ভারতের প্রাইম টাইমে খেলা সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।
ম্যাচগুলো হতে পারে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে অবস্থিত এমআই নিউ ইয়র্কের মাঠে অথবা প্রস্তাবিত নতুন ১০,০০০ আসনের স্টেডিয়ামে। যদিও এই নতুন ভেন্যুটি সময়মতো প্রস্তুত হবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনো রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সব মিলিয়ে ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরার রোমাঞ্চ যেমন রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের জন্য তা হয়ে উঠেছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।