
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে ক্লাস শেষে মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিদের হাতে খুন হন। আজ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তার হত্যার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। মামলার বিচার চলছে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে, তবে এটি দীর্ঘসূত্রিতা দেখে সংশ্লিষ্টরা স্পষ্টভাবে জানাতে পারছেন না কবে এর নিষ্পত্তি হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছে, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন, যাতে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচার পায়।
মামলার তদন্ত শুরু হয় নাজিমুদ্দিনের হত্যার পরদিন, ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল, যখন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। চার বছর পর, ২০২০ সালে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অভিযোগের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, যিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা ছিলেন। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত একাধিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৯ মে ২০২৫ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ।
তবে, নাজিমুদ্দিনের পরিবার মামলার প্রতি তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তার ভাতিজা মো. রিমন জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং মামলার বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই।
মামলায় মোট ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তবে ৫ জনকে প্রমাণের অভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন আকরাম হোসেন, রশিদুন নবী ভূইয়া (টিপু), মো. শেখ আব্দুল্লাহ, এবং মেজর জিয়াউল হক জিয়া। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল ব্লগ লেখালেখির কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের পরিকল্পনা, যার নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জিয়া।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার বিচার দীর্ঘ সময় পর শুরু হয়েছে এবং তিনি আশা করেন দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ হবে।