
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ডোনাল্ড ট্রাম্পের করযুদ্ধের হুমকির পর ভারতের মতো বহু দেশ নিজেদের কর নীতি পুনঃমূল্যায়ন করতে শুরু করেছে। ভারতও এর বাইরে নয়। গুগল এবং মেটার মতো সংস্থার অনলাইন বিজ্ঞাপন পরিষেবার উপর যেই ৬ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছিল, সেটি তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছে মোদি সরকার। ১ এপ্রিল থেকে ওই কর, যা ‘গুগল কর’ নামে পরিচিত, আর নেওয়া হবে না।
ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, যে সব দেশ মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে, আমেরিকা সেই দেশগুলোর পণ্যের উপর পালটা শুল্ক চাপাবে। তার পরেই ঘোষণা করেছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোর উপর পারস্পরিক শুল্ক চাপাতে শুরু করবেন। ট্রাম্পের ভাষায়, “যে দেশ আমাদের ওপর শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও তাদের উপর একই শুল্ক আরোপ করব।” এই পরিস্থিতিতে ভারতের লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পকে শান্ত করা, আর সেই কারণেই গুগল কর তুলে নেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৪ মার্চ, সোমবার এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদি ভারতীয় সংসদে এটি পাস হয়, তাহলে ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে। উল্লেখযোগ্য যে, গত কয়েক বছর ধরে ‘গুগল কর’ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩৮.৬ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ সালে ৫৮৯.৪ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ সালে ৯৩৮.৯ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। ২০১৯-২০ সালে এই পরিমাণ দাঁড়ায় ১,১৩৬.৫ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ সালে (৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত) তা ১,৪৯২.৭ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
এদিকে, হোয়াইট হাউস সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ভেনেজুয়েলা থেকে তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাস কিনলে, সেই দেশগুলোর উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। ২ এপ্রিল থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে। বিশেষত, ভারত ও চীন ভেনেজুয়েলা থেকে সবচেয়ে বেশি খনিজ তেল কেনে, ফলে এই পদক্ষেপটি ভারতের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ভারতের উপর চাপ বাড়ানোর ইঙ্গিত রয়েছে।