
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ভারতে এক ব্রিটিশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দিল্লির একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ধর্ষণের জড়িত কৈলাস নামে ভারতীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে আরেক ধর্ষককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কৈলাসের ওই বন্ধুর বিরুদ্ধেও ব্রিটিশ পর্যটকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব হয় কৈলাসের।
তার সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লিতে আসার পর ব্রিটিশ ওই নারীকে দিল্লির মহীপালপুরের একটি হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কৈলাসকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বন্ধু ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পর্যটকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায় ছুটি কাটাতে ভারতে এসেছিলেন ওই তরুণী। বন্ধুকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন তিনি। কিন্তু বন্ধু উল্টে তাকে দিল্লি চলে আসতে বলেন।
বন্ধুর কথায় দিল্লির একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন ব্রিটিশ তরুণী। অভিযোগ উঠেছে, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে এক বন্ধুকে নিয়ে ওই হোটেলে যান অভিযুক্ত। তার পর তাকে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্তের বন্ধুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে দিল্লির বসন্তকুঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। গ্রেপ্তার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। অভিযোগকারিণী ব্রিটেনের নাগরিক হওয়ায় নিয়ম অনুসারে ব্রিটিশ হাই কমিশনকে বিষয়টি জানায় পুলিশ। হাই কমিশনের তরফে ওই ব্রিটিশ তরুণীকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেয়া হয়।
এনডিটিভি বলছে, কৈলাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, কৈলাস ভালো করে ইংরেজি বলতে পারে না এবং এই কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করত অভিযুক্ত ওই যুবক।
এদিকে দিল্লিতে ব্রিটিশ নারীকে ধর্ষণের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাম্পি শহরের কাছে অবস্থিত সানাপুর লেক এলাকায় সম্প্রতি ইসরায়েলি এক তরুণী পর্যটকসহ দুই নারীকে গণধর্ষণ ও তাদের সঙ্গে থাকা এক পুরুষকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, একইসঙ্গে আবারো প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতে বিদেশি নারী তথা ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা। আতঙ্কে অনেকেই ওই এলাকা ছাড়ছেন বলেও খবর প্রকাশ হয়েছে।
সম্প্রতি বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলি নারীকে গণধর্ষণের সেই ঘটনার পর গত কয়েকদিনে বহু বিদেশি পর্যটক ইউনেস্কোর ওই ঐতিহ্যবাহী স্থান ছেড়ে চলে গেছেন।
অনেক বিদেশি পর্যটক বুকিং ক্যান্সেল করেছেন। অনেকে আবার তাদের পূর্ববর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করে অন্যত্র যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।