
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ অনেক আশা ভরসা নিয়ে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। মানুষ মনে করে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। অতিদ্রুত দেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন৷কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সে লক্ষ্যে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আমরা পাচ্ছি না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সম্মানিত নেতৃবৃন্দ আপনারা দেখেছেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কী পরিমাণ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ থাকছে না।
অবিভক্ত বাংলায় যে সব বরেণ্য, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, যারা বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্ম গ্রহণ করেছেন তাদের নামগুলোকে বাদ দিয়ে এখন কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি, শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছি। আমরা এখন অপেক্ষা করছি আমাদের দেশের জনগণের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রূপান্তরিত করবার, সেই গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করার জন্য, বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বাইরে থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়াপারসন খালেদা জিয়া।