
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :যেহেতু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তাই এবার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অধিবেশন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তাই এবার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন। তাদের ওপর নির্বাচন ঘিরে কোনো চাপ বা প্রভাব থাকবে না। এবার ডিসিদের দলীয় তকমার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো ডিসির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকলে আমরা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবো। কারণ, নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রভাবিত করার সুযোগ নেই।
পলিথিন ব্যবহারের প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ মুহূর্তে পলিথিন বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা শহরে প্রতিদিন দুই কোটি পলিথিন হয়। অথচ আমরা চাইলেই এর ব্যবহার থেকে বের হতে পারি। সবার বাসায়ই চটের বানানো কাপড়ের ব্যাগ রয়েছে। চাল কেনার বস্তা, পুরনো শাড়ি দিয়েও ব্যাগ বানানো যায়। আমরা যুব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাপড় ও চটের ব্যাগ বাজারে আনার চেষ্টা করছি। এটা অসম্ভব কোনো কাজ নয়।
দখলদার ঠেকাতে সুরক্ষা বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকারি জমি অনেকেই দখল করে রেখেছে। খাল উদ্ধারের প্রকল্পে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসবের মধ্যেই (বাধা) আমাদের চলতে হবে। চকবাজারে আমাদের কর্মকর্তাদের অপদস্থ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বন অধিদপ্তরের ১৫ জন কর্মকর্তাকেও শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। দখলদারকে সরতে গেলে সেতো সরবে না, এটাই স্বাভাবিক। জনগণ এখন সুশাসন চায়। বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদেও আলোচনা হয়েছে।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সময় দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়না ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে মহাপরিকল্পনা দেবে। তবে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তারা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে সরকারের কাছে।
মহাপরিকল্পনাইতো নেই, বাস্তবায়ন হবে কোত্থেকে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পরিকল্পনাতো করতে হবে। চায়নিজ একটি গ্রুপ পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলো। যেটা ফিজিবল না, টেকসই না। তাদের সাথে (চায়না পাওয়ার) আলাপ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিকল্পনা নতুন করে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই পরিকল্পনায় কী থাকবে, কী থাকবে না সেটা তিস্তা এলাকার মানুষের মতামত শুনে তারপর করতে হবে। মতামত শোনার প্রক্রিয়া করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পিডব্লিউডি। প্রতিটি গণশুনানিতে উপস্থিত থাকবে পাওয়ার চায়না। এই মহাপরিকল্পনায় যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে বলেও জানান তিনি।
আমরা দুই বছর সময় দিয়েছি, তারা পরিকল্পনা করে দেবে। এরপর প্ল্যানিং কমিশন অ্যাপ্রুভ করবে, তারপর চীন সরকারের কাছে যাবে। এখন জোর দিচ্ছি পরিকল্পনাটা যেন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেয়।