ইউকে সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
হেডলাইন

ধর্ষণের পর হত্যা করে কিশোরীর মরদেহ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ঢাকার দক্ষিণখান থেকে অপহৃত ১৩ বছরের এক কিশোরীর অর্ধগলিত দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ বলছে, পাঁচজন মিলে ধর্ষণ ও হত্যার পর মেয়েটির মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল হাতিরঝিলে।

গত ১৬ জানুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরী। ১৭ দিন পর রোববার হাতিরঝিল থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এরমধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে রবিন হোসেন (৩২) ও রাব্বী মৃধা (২৬) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যেই ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার রওনক জাহান।

সোমবার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি জিডি করেন তার বাবা। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, ১৬ জানুয়ারি বিকেলে দক্ষিণখানের জয়নাল মার্কেটের সামনে থেকে কয়েকজন মিলে তার মেয়েকে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।

এর ভিত্তিতে ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই কিশোরীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে রবিন হোসেন ও রাব্বী মৃধাকে গ্রেপ্তার করে।

উপকমিশনার রওনক জাহান বলেন, “আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

“পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সকালে হাতিরঝিল থেকে ওই কিশোরীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে ওই দুই যুবক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।”

তাদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনার দিন তারা ভিকটিমকে ফাঁদে ফেলে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যায়। এরপর তারা ভিকটিমের হাত, পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী মারা গেলে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করে রবিন ও রাব্বি। পরে তারা লাশটিকে বস্তায় করে মধ্যরাতে মহাখালী থেকে রিকশায় করে নিয়ে হাতিরঝিলের রাস্তার ঢালে ফেলে দেয়।”

এই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান উপকমিশনার রওনক।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ