ইউকে রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন রাহাত ফতেহ আলী

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় চ্যারিটি কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভোল্যুশন’।

গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে আর্মি স্টেডিয়ামের মঞ্চে ওঠেন উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। মঞ্চে উঠেই বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। বাংলাদেশ, আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ বাংলায় বললেন শিল্পী। তারপর টানা পরিবেশনায় মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন শ্রোতাদের।

আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কনসার্টে সংগীতপ্রেমীদের মাঝে সুরে সুরে দর্শক মাতালেন এই পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী। এরপর এক এক করে সংগীতপ্রেমীদের গান গেয়ে দর্শক মাতিয়েছেন আর ভক্তরা মুগ্ধ হয়ে গান উপভোগ করছেন তাঁর।

আর্মি স্টেডিয়ামের অগণিত দর্শকের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে গান ধরলেন, ‘তু না জানে আস পাস হ্যায় খুদা’। এরপর একে একে গেয়ে শোনান ‘সাজনা তেরা বিনা’, ‘ওরে পিয়া’, ‘জরুরি থা’, ‘মেরে রাশকে কামার’, ‘আফরিন আফরিন’সহ তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো।

মাঝে ছেলে শাহজামান ফতেহ আলী খানকে মঞ্চে আহ্বান করেন রাহাত। বাবার সঙ্গে তিনিও গানে অংশ নেন। ‘দমা দম মাস্ত কালান্দার’ দি‌য়ে রাত সা‌ড়ে ১১টায় প‌রি‌বেশনা শেষ ক‌রেন রাহাত ফ‌তেহ আলী।

প্রসঙ্গত, রাহাত ফতেহ আলী খান প্রাথমিকভাবে মুসলিম সুফি হিসেবে ভক্তিমুলক গান গাইতেন। তিনি ওস্তাদ নুসরাত ফাতেহ আলী খানের ভাস্তে এবং ওস্তাদ ফররুখ ফতেহ আলী খান পুত্র। এ ছাড়াও তিনি পুরাণখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী ফাতেহ আলী খানের নাতি।

পাশাপাশি তিনি বলিউডের জনপ্রিয় একজন নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। তার গাওয়া প্রথম বাংলা গান ‘তোমার-ই নাম লেখা’ এবং গানটি লিখেছে বাংলাদেশি গীতিকার রবিউল আউয়াল। গানটি গেয়ে তিনি বাংলাদেশে বেশ প্রশংসিত হয়।

আয়োজনটি উপস্থাপনা করেন জুলহাজ জুবা‌য়ের ও দীপ্তি চৌধুরী। সংগীত ছাড়াও কনসার্ট ইভেন্টে জুলাই বিপ্লব-সংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চ নাটক এবং মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ আরও বিভিন্ন কর্নার ছিল।

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এই কনসার্ট থেকে সংগৃহীত অর্থ শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দেওয়া হবে। রাহাত ফতেহ আলী খান ও তাঁর দল গতকালের পরিবেশনার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেয়নি। কনসার্টের টিকিট বিক্রি থেকে আয়োজক সংস্থা কোনো অর্থ নেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে।

গানের ফাঁকে মঞ্চে উঠে কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আরও ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ। এ ছাড়া আন্দোলনে আহত আতিকুর রহমান, খোকন চন্দ্র বর্মণ, শহীদ আহনাফের মা ও শহীদ সৈকতের বোনও মঞ্চে ওঠেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ