ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার ফলে বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে স্বর্ণের দামে। বিশ্লেষকদের ধারণা ছিলো আগামী বছর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যাবে। তবে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই প্রথমবারের মতো আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭০০ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুই হাজার ৭০০ ডলার অতিক্রম করার পর শনিবার (১৯ অক্টোবর) স্বর্ণের দাম বেড়েছে আরও। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় স্বর্ণের দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি হয়েছে দুই হাজার ৭২৪.৭ ডলারে। একদিনের ব্যবধানে প্রতি আউন্সে প্রায় ১৩ ডলার বেড়েছে স্বর্ণের দাম।
মূলত আসন্ন মার্কিন নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে বেড়েছে। একইসঙ্গে উত্তাপহীন মুদ্রানীতির কারণে স্বর্ণের দর দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। আর বৈশ্বিক বাজারের প্রভাবে দেশের বাজারেও বাড়তে পারে মূল্যবান এই ধাতুর দাম।
এই বছর শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ক্রমশ বাড়ছিল, যা এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিষয়ে পেপারস্টোনের গবেষক ডিলিন উ বলেন, অধিকাংশ জি-১০ মুদ্রায় স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ঐতিহাসিক উত্থানের ঠিক নিচের ধাপে রয়েছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সর্বশেষ নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৩ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৭ বার। যদিও ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল মাত্র ২৯ বার।