ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :দুর্গোৎসবের আজ মহাসপ্তমী। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে সারাদেশের মন্দিরে মন্দিরে থাকছে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার আনুষ্ঠানিকতা। মূলত আজ থেকে শুরু হচ্ছে দেবী-দর্শন, ভক্তদের অঞ্জলি। সন্ধ্যায় থাকছে আরতি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
গতকাল থেকে সারাদেশের ৩১ হাজারের বেশি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজামন্ডপে চন্ডী ও মন্ত্রপাঠ, ঢাকের বাদ্য আর মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে। মহাসপ্তমী উদযাপন শেষে আগামীকাল শুক্রবার হবে মহাঅষ্টমী। এদিন বিহিত পূজার্চনাসহ ব্রতোপবাস ও পুষ্পাঞ্জলির পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসবের অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পূজা। কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবীজ্ঞানে পূজা করবেন ভক্তরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, দেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে এবার পূজার আয়োজন করা হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৪০৮টি । তবে ঢাকা মহানগরে এবার ২৫২টি পূজা হচ্ছে। গত বছর হয়েছিল ২৪৮টিতে। সে হিসাবে মহানগরে পূজামণ্ডপ চারটি বেড়েছে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, প্রস্তুতি নিতে অপারগ হওয়ায় ও বন্যার কারণে দুর্গত এলাকায় কোথাও কোথাও পূজার্থীরা এবার পূজার আয়োজন করতে পারেননি।
এদিকে ষষ্ঠী পূজার আগে গত মঙ্গলবার হয় বোধন বা দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনা পূজা। আগামীকাল শুক্রবার মহাঅষ্টমী এবং শনিবার মহানবমী। এবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা হবে। রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে। একটি বছরের জন্য ‘দুর্গতিনাশিনী’ দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসে দেবালয়ে।
এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এর ফলে পূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আজ থেকে আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা চারদিন ছুটি থাকছে।