ইউকে শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

লন্ডনে শিকড়ের টানে ফিরে দেখা

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :শিকড়ের টানে শৈশব, কৈশোর ও অতীতকে ফিরে দেখতে বিলেতে বসবাসরত সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামাল বাজার বাসীদের মিলনমেলা বসেছিল লন্ডনের টেমসের তীরে। গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার পৃর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট ভেনুতে হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরব ঔ ঐতিহ্যের অর্ধশত বছর পূর্তি উপলক্ষে বিলেতের প্র্যাক্তন শিক্ষার্থীরা সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করে। অনুষ্ঠানটি নিয়ে দেশ ও বিদেশে প্রচুর আগ্রহ ছিল। তার অবশ্যই কারণ রয়েছে। কেননা গত কয়েক বছর ধরে আয়োজকরা অত্যান্ত নিখুঁত পরিকল্পনা ও হোমওর্য়াক করে লন্ডনে মত ব্যাস্ত শহরে সম্পর্ণ ব্যাতিক্রমধর্মী এই আয়োজনটি করে। যারপেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্র্যাক্তন শিক্ষার্থী সহ পুরো বৃহত্তর কামাল বাজার বাসীর টক অব দ্যা টপিক ছিল লন্ডনের সুবর্ণজয়ন্তী। কেনো এত আগ্রহ বা কৌতুহল ছিল মতামতসহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে ধরব, তবে আয়োজকদের নিয়ে দুই লাইনে আমার মতামত তুলে ধরছি। আমি অবশ্যই কথা দিয়েছিলাম কিছু রেনডম অভিমত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। যে কোনো কাজের কেইস স্টাডি বা রিভিউ করা খুবই জরুরি, কারণ ঐ কমেন্টস বা রিভিউ থেকে বেরিয়ে আসা দুর্বল স্পট সমূহ পিন পয়েন্ট করে পরবর্তীতে সংশোধন করা সহজ হয়। এবার আসা যাক মূল কথায়।

গ্রেটার কামাল বাজার ডেভলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে রিতিমত একটি চমক দেখিয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। আয়োজনটির পিছেন সংগটনের প্রতিটি সদস্যের অবদান রয়েছে, সম্পাদনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই তাঁদের শ্রম ও মেধার প্রতিফলনে অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে। বিশেষ করে যে নামগুলো নিতেই হবে যেমন সম্পাদনা পরিষদের শ্রদ্ধেয় এমদাদুর রাহমান এমদাদ, আব্দুল বাচিত চৌঃ, বখতিয়ার খান, আব্দুল হান্নান( প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী) পারভেজ আহমেদ , কুতুব উদ্দিন খাঁন, খসরুল ইসলাম , লুৎফুর রাহমান পাবেল, আমি নিজেই হাফিজুর রাহমান এবং হারুন রশীদ। এই মানুষগুলো নিংস্বার্থভাবে সময়, শ্রম, মেধা ও অন্যান্য সহযোগিতা করে অনুষ্ঠানটিকে উৎসবে রুপ দিয়েছেন। আমি সত্যি আবেগাপ্লুত। প্রিয় বিদ্যাপীঠের টানে একত্রিত হওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ এফোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি, এরপরও ত্রুটি বা ভুল থাকতেই পারে। কিন্তু সুখকর বিষয় হলো সবাই এত স্বতস্ফুর্তভাবে সুবর্ণজয়ন্তী উপভোগ ও সমর্থন করছেন যে সর্বমহলে এটির গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আমি বলব এখানে আয়োজকদের সার্থকতা। কেনো এবং কিভাবে সার্থকতা এর জন্য আমি কয়েকটি মতামত ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি।

সার্থকতা তখন উপলব্ধি করা যায় যখন কর্ম ও পরিকল্পনার ফলাফল পজেটিভ হয়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে পুরো ট্রাস্ক সাজানো হয় এবং গ্রহণযোগ্যতার মধ্য দিয়ে এর প্রতিফলন ঘটে তথনই বলা যায় এস্যাইনমেন্ট সার্থক হয়েছে। যেমন, সুবর্ণজয়ন্তীতে আসা দুই বোন রোহিনা বেগম ও সাবিনা রাহমান( পিতা মরহুম মফিজুর রাহমান পংকি মিয়া)। বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাঁদের একটি মতামত ছিল এরকম, ‘সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসে বন্ধুদের খোঁজ করছিলেন ৯৯ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রী সাবিনা বেগম ও ৯৬ ব্যাচের রোহিনা বেগম(পেঁচিকোরমা)। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, পাচটি বছর হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সহপাঠীদের মধ্য কেউ কেউ ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন। যদি কারও দেখা পান, সেই আশায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসেছেন। অনুষ্ঠানে এসে এত ভালো লেগেছে যে মনে হচ্ছে নিজ এলাকায় চলে এসেছেন তাছাড়া আনন্দ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।’ আয়োজকদের আভ্যর্থনা ও নেটওয়ার্কিং এতটা প্রাণবন্ত ছিল যে তাঁরা বিমোহিত হয়েছেন যা উপস্থিত ছাত্রীদের উক্তি থেকে অনুধাবন করা যায়। গোছালো, সুশৃঙ্খল ও সুন্দর পরিবেশ তাঁদের এতটা মুগ্ধ করেছে যে তাঁরা উপলব্ধি করেছেন নিজ বাড়ীতে চলে এসেছেন। প্র্যাক্তন ছাত্রীদের এমন হৃদয়কাড়া অনূভুতি আয়োজনটির মুগ্ধতা বাড়িয়ে দিয়েছে আমি নিংসন্দেহে বলতে পারি।

কেনো মনোমুগ্ধকর ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে অনুষ্ঠানে আসা ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজিউর রহমান চৌধুরী দুলাল এর অনুভূতি থেকে, তিনি পরিবার নিয়ে এসেছেন সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করতে। তিনি জানান, অনুষ্ঠানটি এত চমৎকার ছিল যে তাঁর পরিবার খুবই উপভোগ করেছে। তাছাড়া ছেলে মেয়েরা আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমার সহপাঠী, কালচার ও ঐতিহ্য জেনেছে এটাই আমার সার্থকতা। আমাদের সন্তানদের জন্য এটি অনুপ্রেরণা যোগাবে। আয়োজকরা এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। কাজেই আমি মনে করি অনুষ্ঠানটির মুগ্ধতা প্র্যাক্তন এই শিক্ষার্থীর মতামত থেকে ফুটে ওঠেছে। ঠিক একইভাবে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক ছাত্রী নন্দিতা বেগম বলেন, আমি যখন হলে প্রবেশ করি তখন অন্যরকম একটি অনুভূতি অনুভব করি। মনে হয়েছিল আবার ২৫ বছর পর বিদ্যালয়ে ফিরে এসেছি। এটি অন্যরকম ভালো লাগা। কত বছর পর সহপাঠী ও সিনিয়র ভাই বোনদের দেখেছি। আমার আজকে আসা সার্থক হয়েছে। আবার এই সার্থকতাকে আরেকটু ঝালিয়ে দেন সংগঠনের ইসি মেম্বার ও প্র্যাক্তন শিক্ষার্থী প্রিয় শাহ আলম হুবেব ভাই। তাঁর মতে ইংল্যান্ড প্রবাসীদের নিয়ে এটি এযাবৎ কালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর একটি উৎসব ছিল। তিনি মনে করেন,অনুষ্ঠানমালা ও এর ধারাবাহিকতা সবার নজর কেঁড়েছে। আমাদের বিদ্যালয় ও কামাল বাজার এলাকার সুন্দর্য এবং ঐতিহ্য চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেটা থেকে আমরা পরিবর্তনের বার্তা পেয়েছি। এই উৎসবের সফলতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে সংগঠনটি আরও চমকজাগানো বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন হুবেব ভাই।

বৈচিত্র্য নিয়ে যখন কথা ওঠেছে তখন সুবর্ণজয়ন্তীর বৈচিত্র্যময়তার কথা না বললে নয়। ঐ বৈচিত্র্যের সংমিশ্রণের জন্য আমরা যারা চেষ্টা করেছি তাঁরা হয়তোবা বিন্দু পরিমাণ হলেও আত্মতুষ্টি পাবে এই বৈচিত্র্যময় মতামত শুনে। যেমন শামছুল ইসলাম লাহীন বলেন, টেলেন্টেড গুণীজনদের যে সম্মাননা ও স্বীকৃর্তি দেওয়া হয়েছে এটি আমার কাছে বৈচিত্র্যয় আইডি মনে হয়েছে। এটি খুবই জরুরি ছিল। এই উদ্যোগটি যাতে প্রতি বছর নেওয়া হয় এই অভিমত জানিয়ে তিনি এক কমেন্টে বলেন, এর ফলে আমাদের ছেলে মেয়েরা আরও উৎসাহিত হয়ে বৃটেনের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। তাছাড়া, অত্যান্ত আন্তরিক পরিবেশ ও সুশৃঙ্খল ধারাবাহিকতার ফলে উপস্থিত সবাই এক পরিবারের মনে হয়েছে। এটি হওয়া উচিত। আবার, নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্র্যাক্তন এক ছাত্রী বলেন, আমি লন্ডন থেকে একটু দূরে থাকি যার জন্য অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। তবে যখন থেকে অনুষ্ঠানটির খন্ড চিত্র ও নিজজগুলো দেখেছি তখন থেকেই আমার মনটা ছটফট করছে আর অনুশোচনা করছি কেনো গেলাম না। কমিউনিটির টেলেন্টেডদের স্বীকৃর্তি ও পরিচিতি জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার হতে যাচ্ছে বলে আমাকে অগ্রিম বার্তা দেন। আমি ক্ষণিকের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। আমার আর বুঝার বাকি নেই যে পরবর্তী তালিকায় উনার মেয়ের নাম আসছে। আমার কাছে মনে হয়েছে আয়োজনটি এখানে সার্থক হয়েছে।

সার্থকতার মধ্য পরম তৃপ্তি রয়েছে। আমি যখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে তখন ফিলোসপির প্রতি প্রচন্ড টান ছিল। সার্থকতা নিয়ে প্রচুর খাঁটাখোটি করেছি। তাই সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি আমার অত্যান্ত প্রিয় করিম ভাই এর ইমপ্রেশন হলে আসা সার্থক হয়েছে। আব্দুল করিম (ব্যাচ ২০০১), থাকেন ইংল্যান্ডের নরউইছ শহরে। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় আমাকে জানান, “আমার প্রবাস জীবনের শ্রেষ্ঠ এবং স্বরণীয় একটি দিন কাঠিয়েছি। আমি ভাবিনি এত সাবেক শিক্ষার্থী এখানে আসবেন। কারণ ইংল্যান্ডে সবাই ব্যাস্ত তারপরও সবকিছু বিসর্জন দিয়ে একদিনের জন্য সবাই এসেছেন। অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেকের সাথে দেখা হয়েছে ১৮,২০ ও ২৫ বছর পর। আমার এত ভালো লাগছে এলাকার সব প্রিয় মানুষগুলোকে দেখে। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আমরা আগামীতে এরকম আরও অনুষ্ঠান আশা করছি যাতে করে বছরে অত্যান্ত একবার সবাই মিলিত হতে পারি”।

করিম ভাই লন্ডনে বসে যখন এমন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন তখন উনার সহপাঠী বন্ধু কৃষ্ণা মোহন বাংলাদেশে থেকে সম্পর্ণ ভিন্ন ইচ্ছা পোষণ করে বলেন, লন্ডনের মত আমরা বাংলাদেশে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে চাই। শ্রদেয় ‘কৃষ্ণা মোহন’ একই ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। লন্ডনের খন্ড চিত্র তাঁকে নিয়ে যায় প্রায় দুই যুগ পিছনে। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন অনুষ্ঠানটি দেখেছি তখনই একটা টান অনুভব করি। ফিরে যাই অতীতে, চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফেলে আসা দিনগুলো। তবে আমি অবাক হয়েছি লন্ডনের আয়োজনটি দেখে বিশেষ করে বিদেশে যে এত সুন্দর একটি ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছে গ্রেটার কামাল বাজার ডেভলাপমেন্ট ট্রাস্ট। তাও আবার লন্ডনের মত ব্যাস্ত শহরে। মি. মোহন আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও উপস্থিত প্রিয় মানুষগুলোকে দেখে আমার হৃদয়কে শীতল করে দিয়েছে। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংগঠনটি যদি বাংলাদেশে এরকম একটি উদ্যোগ নেয় তবে আরও ভালো লাগবে।” উনার মতামতকে আমি সম্মান জানিয়ে আবারও বলছি আয়োজকদের সফলতা এখানে।

আবার, সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানটি কীভাবে উপভোগ করেছেন তা প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান ১৯৯১ ব্যাচের আরেক মেধাবী ছাত্র শ্রদ্ধেয় মাশুক আহমেদ ভাই। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “আমি যখন অনুষ্ঠানটি দেখেছি তখন মনে হচ্ছিল আমার মনটা লন্ডনের ইমপ্রেশন হলে চলে গেছে। বিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের অন্যরকম টান ও আবেগ রয়েছে। লন্ডনের উৎসব আমি খুবই উপভোগ করেছি। আয়োজকরা সম্পর্ণ ব্যাতিক্রমধর্মী একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে করেছেন। এর জন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আমার স্কুল জীবনের অনেক সহপাঠীকে ও এলাকার প্রিয় মানুষগুকে এই অনুষ্ঠানে দেখে মনটা ভরে গেছে। লন্ডনে মত ব্যাস্ত শহরে সবাইকে এক সাথে জড়ো করা খুবই কঠিন একটি কাজ কিন্তু এই কাজটি সম্ভব করেছে গ্রেটার কামাল বাজার ডেভলাপমেন্ট ট্রাস্ট।”

অনুরুপভাবে আরেক কমেন্টসে নিউইয়র্ক থেকে বিদ্যালয়ের প্র্যাক্তন ছাত্র ও জনদরদী সেবক জনাব শ্রদ্ধেয় আলমাস আলী চাচা আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, লন্ডনে এই উৎসবে আমার এলাকার অনেক গুণীজন, বন্ধু বান্ধব ও প্রিয় মানুষগুলোকে দেখে বেশ ভালো লেগেছে। তিনি মনে করেন এটি একটি পরিপূর্ণ সার্থক উৎসব হয়েছে। আবার, সুবর্ণজয়ন্তীর ঠিক পরের দিন ওয়েষ্ট ইয়র্কশায়ার থেকে একটি বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিলেতের সুনামধন্য আইনজীবী ও কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব জনাব আনছার হাবিব। তিনি বলেন অত্যান্ত চমৎকার ও সুন্দর একটি আয়োজন ছিল। ইউরোপ এবং আমেরিকায় কামাল বাজার প্রবাসীদের আয়োজনটি নিয়ে যখন সবাই উৎচ্ছাস প্রকাশ করছেন তখন আবারও হাজার মাইল দূর বাংলাদেশ থেকে এক বার্তায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মতামত দেন বিদ্যালয়ের প্র্যাক্তন ছাত্র, তুখোড় সংগঠক ও এক্টিভিস্ট এনামূল হক মাক্কু ভাই। জনাব শ্রদ্ধেয় মাক্কু ভাই বলেন, লন্ডনে অত্যান্ত জাঁকজমক, শৃঙ্খল ও সার্থক অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্র্যাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও বিদ্যালয়কে সম্মান জানানোর কৌশল সবার নজর কেড়েছে ও প্রংশসা কুড়াঁচ্ছে। তাছাড়া তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, এলাকার নতুন ও পুরাতন সবাইকে অনেক দিন পর দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

সফলতা শব্দটি আমি এড়িয়ে চলতে চাই তারপরও বারবার চলে আসে। কিন্তু কী আর করা! বলতে তো হবেই। আমার কাছে সার্থকতা পেয়েছে যখন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি প্রায় ৪৫ বছর পর সহপাঠীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্রী নূরজাহান মতিন। আয়োজকরা সফল হয়েছেন যখন ৪১, ৩৫, ৩০ ও ২৫ বছর পর সহপাঠী ও এলাকার মানুষগুলো মিলনমেলার সাক্ষি হয়ে। এটিই ছিল অভূতপূর্ব দৃশ্য। এটিই ছিল পূর্ণমিলন। এটিই ছিল হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুম। এটি ছিল কামাল বাজার বাসীর মুখরিত উৎসব। এটিই ছিল ব্রিটিশদের বুকে এক খন্ড বাংলাদেশ।

পরিশেষে, স্কুল জীবনের সৃত্মি আমাদের এখনও তাড়ায়। একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ পাচটি বছর কাঠিয়েছি। যার পেক্ষিতে সেই সোনালী দিনগুলো আমাদের মগজের শিরা উপশিরায় আটঁকে আছে। তাই সেই সৃত্মিগুলো আবার ঝালাই করে ফিরে দেখতে আমরা বিলেত প্রবাসী প্র্যাক্তন শিক্ষার্থীরা এক ছাঁদের নিচে জড়ো হয়েছিলাম। এটি ছিল একটি অভূতপূর্ব আবেগঘন পরিবেশ যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। স্কুলের স্মৃতি স্বরণ এবং কৈশোরে ফিরে যাওয়ার গল্প করতে করতে সহপাঠীদের চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল এমন দৃশ্য বিরল। আর এই বিরল ইতিহাস রচনা করেছে গ্রেটার কামাল বাজার ডেভলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে। আমি মনে করি আমরা যে কাজটি করেছি সেখানে আমাদের অনেক ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক কিন্তু সংগঠনের প্রতিটি সদস্য যে উদারতা ও সহযোগিতা করেছেন তা প্রশংসনীয়। শিকরের টানে শিক্ষার্থীরা টেমসের পাড়ে সমবেত হয়ে যে সম্মান প্রদর্শন করেছেন তা বিলেতের তৃতীয় জেনারেশনকে অনুপ্রাণিত করেছে নিংসন্দেহে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com