ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :নির্বাচনে হারলে তার আংশিক দায় আমেরিকান ইহুদিদের ওপর বর্তাবে- এমনটাই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলিপন্থি সম্মেলন ইসরাইলি-আমেরিকান কাউন্সিলের ন্যাশনাল সামিটে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাম্প। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলার সঙ্গে বিতর্কে সুবিধা করতে না পারায় বেশ বিপাকেই আছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সম্মেলনে ইহুদি ভোটারদের সমর্থন না পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যে তিনি হ্যারিসকে সমর্থন করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছেন।
এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, তার প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিস জয়ী হলে ইসরাইল দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। আর এমন পরিণতির জন্য ইহুদিরা আংশিকভাবে দায়ী থাকবেন।
ট্রাম্প বেশ জোর গলায় বলেন, ‘এ নির্বাচনে যদি আমি জয়ী না হই, তবে সত্যিই এটি ইহুদি জনগণের ওপর প্রভাব ফেলবে। কেননা, যদি (আমেরিকান ইহুদিদের) ৪০-৬০ শতাংশ মানুষ শত্রুকে ভোট দেয়, তবে আমার মতে, দুই বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।’
পিউ রিসার্চের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে কমলার পক্ষে আমেরিকান-ইহুদিদের সমর্থন বেশি। ওই জরিপ মতে, ৬৫ শতাংশ ইহুদি কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন। আর মাত্র ৩৪ শতাংশের সমর্থন ছিল ট্রাম্পের পক্ষে।
সম্মেলনে বিগত ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে আমেরিকান-ইহুদিদের ৩০ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছিলেন বলে দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হলেও ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে ওয়াশিংটনে পৃথক এক সম্মেলনেও একই ধরনের মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এবার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক অঙ্গরাজ্যগুলোতে ইহুদি ভোটারদের সমর্থনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ট্রাম্পের প্রচার শিবির।
মার্কিন ইহুদিরা কয়েক দশক ধরে ফেডারেল নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের দিকে প্রবলভাবে ঝুঁকেছে এবং এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে জয় নির্ধারণে ইহুদিদের ভোট সামান্যই পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাপূর্ণ পেনসিলভেনিয়ায় ৪ লাখেরও বেশি ইহুদি রয়েছে।
ওই অঙ্গরাজ্যে ২০২০ সালে ৮১ হাজার ভোটে জিতেছিলেন বাইডেন। এর আগে গত জুলাইয়ে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণ এড়িয়ে যাওয়ায় কমলা হ্যারিসকে ‘ইহুদিবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত ২৬ জুলাই দক্ষিণ ফ্লোরিডায় আয়োজিত ধর্মীয় এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, কমলা ইহুদিদের পছন্দ করেন না। তিনি ইসরাইলকে পছন্দ করেন না। এটি এমনই হয় এবং সব সময় এমনই হবে। তার পরিবর্তন হবে না।