ইউকে শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

পিকে হালদারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু, এস. আলম গ্রুপের সম্পৃক্ত থাকার গুঞ্জন

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ অপর অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১ এর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে।

আদালত ২৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। এই দিন মামলার আরেক অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের জামিনের ব্যাপারে নগর দায়রা আদালতে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। যদিও তার কোনো কারণ দর্শানো হয়নি। অন্যদিকে পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদন করা হয়েছে কলকাতার হাইকোর্টে। ৯ সেপ্টেম্বর সেখানে এই জামিনের আবেদন শুনানি হবে।

গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় বাংলাদেশের এস. আলম গ্রুপের সম্পৃক্ত থাকার যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা নিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, এসবই বিচারাধীন বিষয়। আদালতের কাছে রয়েছে। মামলা যখন শুনানি হবে, তখন মহামান্য আদালত বিচার করে দেখবেন।

আদালতে থেকে বের হওয়ার সময় এই মামলা সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন করা হলে বিশ্বজিৎ মান্না বলেন ‘এখনও বলার সময় আসেনি।’

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের সম্পৃক্ত থাকার যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা নিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, এসবই বিচারাধীন বিষয়। আদালতের কাছে রয়েছে। মামলা যখন শুনানি হবে, তখন আদালত বিচার করে দেখবেন। মামলার পরবর্তী দিনগুলোতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। আমরা এই মামলার ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছি। দেখা যাক, ট্রায়ালে কি হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাট থেকে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। এছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগী- তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতোমধ্যেই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা অর্থপাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ মামলার শুনানি চলছে। আদালতের নির্দেশে পাঁচ অভিযুক্ত রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর আদালতের নারী সেলে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com