ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ প্রার্থী। খবর রয়টার্সের
আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অর্থনীতিতে সঙ্কটে ডুবে থাকা দেশটি ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। এমন সময় কে নির্বাচিত হয়ে অর্থনীতির হাল ধরবেন সেদিকে দৃষ্টি থাকবে সবার।
দেশটিতে এক কোটি ৭০ লাখ বৈধ ভোটার আছেন। তারা আগামী ৫ বছরের জন্য দশম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। প্রার্থীদের বাছাই পর্বে যারা টিকে থাকবেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তারাই নির্বাচনি মাঠে টিকে থাকবেন এবং প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবেন। শনিবার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরায় নির্বাচনি র্যালি করার কথা প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের।
তার ১০০টি নির্বাচন প্রচারণা সভায় উপস্থিত হওয়ার পরিকল্পনা আছে। তার মধ্যে এটিই হবে প্রথম। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে যারা থাকবেন তারা প্রত্যেকে কয়েক ডজন করে র্যালি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একেবারে কমে যাওয়ার পর থেকে শ্রীলংকা আর্থিকভাবে সফলতা লাভের চেষ্টা করছে। ফলে দেশের অর্থনীতি কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে প্রার্থীরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের ম্যানিফেস্টোতে উল্লেখ করবেন বলে মনে করা হয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মধ্যে থাকবে দুর্নীতি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
শ্রীলংকার নির্বাচন ব্যবস্থায় একজন ভোটার তার পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। যে প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগ বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনি বিজয়ী হবেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীই যদি শতকরা ৫০ ভাগ ভোট না পান তাহলে সবচেয়ে বেশি ভোট যে দু’জন প্রার্থী পাবেন তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। তাতে যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। কঠোর নিরাপত্তায় কয়েক হাজার ভোটকেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু করবেন। নির্বাচন কমিশন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে আনুষ্ঠানিকভাবে। সেটা ২২শে সেপ্টেম্বর ঘোষণা হতে পারে। একই দিনে সাধারণত নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নিয়ে থাকেন।