ইউকে বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

সিলেটসহ ৪৮৭ মেয়র-কাউন্সিলর হাওয়া, বিঘ্নিত নাগরিক সেবা

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতার অনেক ক্ষত এখনো রাস্তাঘাটে রয়ে গেছে; বিশেষ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নগরীগুলোর রাস্তাঘাটে ইটপাটকেল ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার অংশবিশেষ পড়ে আছে। এগুলো অপসারণের দায়িত্ব যে সংস্থার সেই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরই খোঁজ মিলছে না। অন্যদিকে চলছে ডেঙ্গুর মৌসুম। মশাবাহিত এ রোগে চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনেই আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মশকনিধন কার্যক্রমেও গতি নেই। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন না নাগরিকরা।

দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রায় সব কটিতেই মেয়র-ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১২টি সিটি করপোরেশনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলেয়ে ৬১৯ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। যার মধ্যে ৪৮৭ জনই আত্মগোপনে রয়েছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে-পরে এসব মেয়র-কাউন্সিলরও আত্মগোপনে চলে যান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব পর্যায়ে কাজ শুরু হলেও ফিরছেন না নগর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধিরা। এতে নাগরিক সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের দলীয় পদে থাকায় কাউন্সিলরদের অনেককেই মাঠে থাকতে হয়েছে। অনেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণাও দেন। তা ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে ১৫ বছরে অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নানা অন্যায় ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানির অভিযোগও আছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। যার ফলে নিজ থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মধ্যে রংপুর এবং গাজীপুর ছাড়া বাকি ১০টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা মেয়র পদে রয়েছেন। এর মধ্যে শুধু রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান অফিস করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনও অফিসে যাচ্ছেন না। তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সিঙ্গাপুর চলে যান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশে থাকলেও নগর ভবনে আসছেন না। এই দুই মেয়রের দপ্তরও বন্ধ। ফলে রাজধানীর নাগরিক সেবাদানকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মেয়রঘেঁষা বা দলীয় পরিচয়ে যেসব কর্মকর্তা এত দিন নগরভবন দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, তারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠান দুটিতে এক প্রকার অচলাবস্থা দেখা দেয়।

এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সম্প্রতি সব কাউন্সিলরকে নিয়ে সভা আহ্বান করেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। কিন্তু তাতে প্যানেল মেয়রসহ ৬৫ কাউন্সিলরই অনুপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত ১০ কাউন্সিলরকে নিয়ে বর্জ্য অপসরাণ, মশানিধন ও সড়কবাতি সচল রাখার কাজ শুরু হয়। এর বাইরে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ডিএসসিসির ৭৫ ওয়ার্ডে ৮ জন কাউন্সিলর ছাড়া সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২৫টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের মধ্যে চারজন রয়েছেন বিএনপির। এই ১২ জন ছাড়া এলাকার কোনো কর্মকাণ্ডে কাউন্সিলরদের দেখা মিলছে না। অন্যদিকে ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডের মধ্যে দুজন বিএনপির এবং একজন জাতীয় পার্টির (রওশন) কাউন্সিলর রয়েছেন। আর সংরক্ষিত ১৮ ওয়ার্ডের মধ্যে বিএনপির নারী কাউন্সিলর আছেন দুজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর মিলিয়ে ১৭৪ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। যার মধ্যে মাঠে আছেন মাত্র ১৭ জন। একইভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর মিলিয়ে ৪৬ জনের কেউ এলাকায় প্রকাশ্যে আসছেন না। তারা সাবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১ ওয়ার্ডের মধ্যে মেয়র-কাউন্সিলরসহ ২২ জন জনসম্মুখে আসছেন না। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে মেয়রসহ ২৬ জন লাপাত্তা। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধি রয়েছেন ৪১ জন। এর মধ্যে বিএনপির ৪ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ২ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং জামায়াতে ইসলামীর ২ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এলাকায় আছেন। বাকি ৩২ জন আত্মগোপনে চলে গেছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মেয়র-কাউন্সিলর মিলিয়ে ৭৭ জন জনপ্রনিধি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৩ জন বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর এলাকায় রয়েছেন। মেয়রসহ বাকি ৬৪ জন জনপ্রতিনিধির দেখা পাচ্ছেন না নাগরিকরা। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৯ জন জনপ্রতিনিধি এলাকায় প্রকাশ্যে আসছেন না। সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২ ওয়ার্ডে ৫৪ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে মেয়রসহ ৩১ জন জনপ্রতিনিধি এলাকায় প্রকাশ্যে আসছেন না। তবে বিএনপি-জামায়তপন্থি ২৬ কাউন্সিলর এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরসহ ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির ১৪ এবং বাসদের একজন কাউন্সিলর এলাকায় রয়েছেন। মেয়রসহ ১৭ জনের দেখা পাচ্ছেন না কেউ। এই ১৭ জনের মধ্যে জাতীয় পার্টির এক নেতাও রয়েছেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪৫ জনপ্রতিনিধির মধ্যে বেশিরভাগই এলাকায় উপস্থিত আছেন। তাদের মধ্যে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, বিএনপির ৪ কাউন্সিলর, জামায়াতের ২ কাউন্সিলর, জাতীয় পার্টি ও বাসদের ১ জন করে কাউন্সিলর এবং সতন্ত্র ১৪ কাউন্সিলর এলাকায় আছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ১৯ কাউন্সিলরকে এলাকায় দেখছেন না কেউ।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৩৭ জনপ্রতিনিধির মধ্যে মেয়রসহ ৩২ জনের দেখা মিলছে না। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলর ছাড়াও একজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরও এলাকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাগরিক সেবা বিঘ্নিত: জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন থেকে শুরু করে কবরস্থান ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত ১৭ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে সিটি করপোরেশন। মেয়র-কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে এসব সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। মেয়র-কাউন্সিলররা না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও অনেকেই আতঙ্কে আছেন। কোনো কাজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কটির বিভাজকের রেলিং অনেক জায়গায় নেই। আন্দোলনের সময় ভেঙে ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙা অংশ টোকাই ছিনতাইকারীরা নিয়ে গেছে। ফলে এখন যত্রতত্র মানুষ রাস্তা পারাপার হচ্ছে। বনশ্রী এইচ ব্লকের ১, ২, ৩, ৪ নম্বর রোডের বেশিরভাগ সড়কবাতি নষ্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায় এসব সড়কে রাতে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া মতিঝিল, নিউমার্কেট, শাহবাগ, পল্টন, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, উত্তরাসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ এলাকায় বিপর্যস্ত নাগরিক সেবা।

রাজধানীর কাওলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের কাউন্সিলর কই আছেন, জানি না। ওয়ার্ডের কোনো কাজ হচ্ছে না। মানুষ বিপদে পড়লে যে বলবে, সেই অবস্থাও নেই।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘কিছু জনপ্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকলেও বর্জ্য, স্বাস্থ্য বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত কাজ করছেন। বেশ কয়েকটি থানাও তারা পরিষ্কার করেছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেয়রের অনুপস্থিতির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নিয়ে করপোরেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত জরুরি সেবা কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।’

এদিকে ৫ আগস্টের পর থেকে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে ডিএসসিসি নগর ভবনে। শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিক্ষোভের মুখে প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন বলে প্রকৌশলীদের বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে।

খুলনা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক এসএম আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, অফিস খোলার এক সপ্তাহ পরও মেয়র-কাউন্সিলরদের দেখা মিলছে না। ১৫ জন ওয়ার্ড সচিব দেশ রূপান্তরকে জানান, ৩১টি ওয়ার্ড কার্যালয়ের অধিকাংশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক কার্যালয়ের মালামালও লুট হয়েছে। কিছু কার্যালয় এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে। শুধুই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। সেখানে চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত নেই, যা লিখিতভাবে করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।

সচিবরা আরও জানান, কার্যালয় খোলার পর থেকে তারা কার্যালয়ে এসে, কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে এবং নানাভাবে নিয়মিত কাজ করছেন। নিরাপত্তার অভাবে কাউন্সিলররা কার্যালয়ে আসেন না। অনেক কাউন্সিলর আত্মগোপনেও আছেন। আগেই কিছু সনদে স্বাক্ষর রয়েছে। সেগুলো দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুধু বর্জ্য অপসারণ নিয়মিত করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে করপোরেশনের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা বেগম বলেন, ‘আর্থিক ক্ষমতা মেয়রের কাছে। অফিস খোলার পর তিনি এখনো অফিসে আসেননি। ফলে কোনো খাতে অর্থ খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিকাদারি বিলসহ আর্থিক ফাইল ছাড়া যাচ্ছে না। যে কার্যালয়ে চেয়ার-টেবিলও নেই, সেখানে সেগুলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

সচিব আরও জানান, দপ্তরিক ও জনস্বার্থে কিছু রদবদল করা হয়েছে। তবে সেবামূলক কার্যক্রম জোরদারে সব কর্মকর্তাকে দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনী-খুলনার কমান্ডার সৈয়দ ওয়ারেস আলীর সঙ্গে সভাও হয়েছে। তারা সার্বিক নিরাপত্তা দেবেন এমন আশ্বাস দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ মত: স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনগুলোয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার নিয়ম নেই। সরকার চাইলেও তাদের নির্দেশনা দিতে পারবে না। আপদকালীন সিটি করপোরেশনের কাজের জন্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটা নির্দেশনা দিতে পারে। পরে প্রশাসক নিয়োগ করে করপোরেশন ভেঙে নতুন নির্বাচনের দিকে আগাতে পারে। তবে নতুন নির্বাচন বা প্রশাসক নিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সিটি করপোরেশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখন অনেকেই উপস্থিত নেই। এটি একটি শূন্যতা। তবে সিটি করপোরেশনের কাঠামো এমনভাবে ডিজাইন করা তাদের অনুপস্থিতিতে অনেক কাজই কর্মকর্তারা করতে পারেন। সেই ক্ষমতা আইনে দেওয়া আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাদের অফিস বন্ধ থাকলে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক অফিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আঞ্চলিক অফিসগুলোর সবাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com