ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য তাদের কাজ করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। নিয়ন্ত্রণের জন্য হাতে লাঠি, মুখে বাঁশি নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্কতা অবস্থানে দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীদের।
ট্রাফিকের সমন্বয়কারী হিসেবে যিনি ছিলেন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ফেসিলিটিটর, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ এর হবিগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী, ধর্মীয় আলোচক: আল আমিন সাঈফী বলেন, ‘সকাল থেকেই শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান করি। যাতে যানজট না হয়।’ এতে অনেক সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এবং ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি ও বিস্কিট বিতরণ করা হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন: আলিফ সুবান ডিগ্রী কলেজ মিরপুরের BNCC সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট টুমরো সকল, সদস্যবৃন্দ। আরও ছিলেন, মহিউদ্দিন,শায়েস্তাগঞ্জ। আনসার সদস্য! তানভীর মিয়া,কন্ঠ শিল্পী, কাউসার সালেহ, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোছাম্মদ মীর শিমু আক্তার। উন্নয়ন মানব সেবা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক : শাহিন আলম, এদের সকলের মনিটরিং করেছেন: সমন্বনয়ক আল আমিন সাইফী। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাব।’
পথচারীরা বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতে আরো বেশি ভালো লাগছে।’ তারা বলেন, নতুন উদ্যোগে, নতুন উদ্যমে দেশটি এগিয়ে যাক। রিকশাচালক কাওসার মিয়া জানান, ছাত্ররা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে, দেখে খুব ভালো লাগছে। এমন একটি উদ্যোগ দেখে, দুপুরে কর্মরত শিক্ষার্থীদের কে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন ফারদিন-মারদিন হোটেলের মালিক,আব্দুল আহাদ।