ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ঢাকার সাভারের শতবর্ষী বৃদ্ধা তাহেলা খাতুনকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই বৃদ্ধার নির্যাতনের কথা জানতে পেরে বড় ছেলে প্রতিরোধ করলে অভিযুক্তদের হাতে মারধরের শিকার হন বলেও অভিযোগ করেন। তবে অভিযুক্তদের দাবি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ওই বৃদ্ধা এবং তার মেয়ে ফাতেমা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচারের দাবি করেন।
আহতরা হলেন- বৃদ্ধা তাহেলা খাতুন (১২৫) ও তার বড় ছেলে খলিলুর রহমান (৭৫)।
অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন- সাভার পৌর এলাকার উলাইল মহল্লার আবু তাহেরের ছেলে নূর নবী (৩০), শাহীন (২৮), মাসুদ (২২) ও নূর নবীর স্ত্রী আকলিমা (২৫)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত বৃদ্ধা তাহেলা খাতুন ছোট ছেলের আবু তাহেরের সংসারে থাকতেন। সেই সুবাদে বৃদ্ধার নিজের শেষ অবলম্বন তিন শতাংশ জমি সেই ছেলের ঘরের নাতিদের নামে লিখে দেন। কিন্তু নিজের সম্পত্তি দিয়েও জীবনের শেষ মুহূর্তের অবহেলা ও নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায় বৃদ্ধার কপালে।
আহত বৃদ্ধা তালেহা খাতুন বলেন, এখন আমি বিছানা থেকে উঠতে পারি না। বিছানাতেই সব কিছু। আমাকে দেখাশুনার জন্য, আমার জমি নাতিদের নামে লিখে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করেন।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বড় ছেলে খলিলুর রহমান বলেন, আমার মাকে কৌশলে তারা নিয়ে রেখেছিল। সম্পত্তি নেয়ার পর ঠিক মতো খাবার দেয় না। চুলের মুঠি ধরে ঘরের দেয়ালের সাথে কপালে ধাক্কা দেয়। এতে আমার মার কপাল ফুলে রক্তের জমাট বাঁধে। পরে আমি গিয়ে মারধরের চিহ্ন দেখে প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে নূর নবী বলেন, আমার পরিবারের সবাই আমরা দাদীকে দেখাশুনা করতাম। তার সেবা যত্নের কোন ত্রুটি করা হয়নি। আমাদের বাসা থেকে ঝগড়া করে দাদিকে নিয়ে গেছে। দাদীর বয়স হয়েছে, এখন সে যার কাছে থাকে তাদের পক্ষেই কথা বলে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।