ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাতের আঁধারে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের সময় গুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এই সব ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি এবং জামায়াত। তারা এই সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করতে মাঠে নামারও ঘোষণা দেয়।
বিএনপি-জামায়াত নেতাদের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সিলেটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ঘটনার রাতে সিলেট বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা ছিলেন সাবেক মেয়র বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনে। ঘটনায় রাতে সাবেক এই মেয়রের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেয়া হয়। এরপর তিনি আরেক উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ জামালকে নিয়ে মিনি ট্রাকে করে মাইক হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। তিনি নগরের শৃঙ্খলা ফেরাতে পাড়ায় পাড়ায় নগরবাসীকে সোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন করে সিলেট জামায়াত বলে, ছাত্রজনতার এই বিজয়কে নস্যাত করতে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও একটি স্বার্থান্বেসী মহল তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, বাসা-বাড়ী ও ব্যক্তির উপর কোন ধরণের হামলা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সকল নাগরিকের নিরাপত্তা, মন্দিরসহ সকল ধর্মের মানুষের পাশাপাশি সকল উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও সিলেটবাসীর প্রতি জোর দাবী জানায়।
চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জামায়াত-শিবিরের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে পাহারা দিচ্ছে।