ইউকে বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

৬ সমন্বয়ককে ফেরত চেয়ে করা রিটের আদেশ আজ হবে না

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :এক বিচারপতি অসুস্থ থাকার কারণে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ আজ হবে না।

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে সংশিষ্ট আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন প্রধান বিচারপতির কাছে ছুটি নেন। সেখানে অসুস্থতার কারণ দেখান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান বিচারপতির দপ্তর। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তাকে ফের ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়।

এদিকে, গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।

শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা না হলেও রাতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার’ কারণে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয়া হয়। পরদিন রোববার নেয়া হয় নুসরাত তাবাসসুমকে।

রোববার রাতে ছয় জন পাশাপাশি বসে একটি ভিডিও বার্তা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন নাহিদ ইসলাম।

তিনি সেই ভিডিওবার্তায় বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা সরকার ইতোমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

তবে রাতেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আরও তিন সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মাহিন সরকার ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশীদ।

ফেইসবুকে তিনজনের একটি ছবি শেয়ার করে এক পোস্টে রিফাত রশীদ লেখেন, সিনিয়ররা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, সমন্বয়কদের মাঝে এক গ্রুপকে তুলে নিয়ে গেলে বাকিরা নেতৃত্ব দেবে। কাউকে যদি আটক করে জোরপূর্বক কোনো বিবৃতি আদায় করা হয় তবে আমরা সেটা না মেনে যারা মাঠে থাকব, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ