ইউকে রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

বিশ্বনাথের বৈরাগী বাজারে জমজমাট নৌকার হাট

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :গ্রামাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ বাহন নৌকার ব্যবহার আজ অনেকংশে কমে গেছে। এক সময় নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল হাট বাজার। সেই বাজারে মালামাল আনা নেওয়ার মাধ্যম ছিল নৌকা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ সেই চিরচেনা দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়েনা।যা দেখা যায় কয়েক বছরের বন্যায় যখন খালবিল ও এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়।এ কারণেই বর্ষা এলেই বেড়ে যায় নৌকার গুরুত্ব।তাই শত বছরের ঐতিহ্য বিশ্বনাথ উপজেলার বৈরাগী বাজারে বসে নৌকার হাট।সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার নৌকার হাটকে কেন্দ্র করে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
সরেজমিন বৈরাগী বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাকুন্দা নদীর চরে সারিসারি নৌকা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলমান থাকা হাটে দাম কষাকষি করে পছন্দের নৌকা কিনে নিয়ে যান ক্রেতারা।পাশাপাশি নৌকার হাটে হরেকরকম বৈঠাও সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের মতে নৌকার হাট হিসেবে সিলেটের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। এ হাটটি শতবর্ষের পুরনো হবে।তবে কেউই এর সঠিক ইতিহাস বলতে পারেনি।
বাজারে কথা হয় স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে। তারা জানান,জারুল,কড়ই রেন্টি,শিরিশ,আম,জাম,চামরুল,শিমুলসহ প্রায় ধরনের কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি হয়ে থাকে। কাঠের ব্যবহার ও আকারের ওপর প্রতিটি নৌকার দাম পড়ে। জারুলের তৈরি নৌকা সর্বোচ্চ ও শিমুলের তৈরি নৌকা সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে।হাটে নৌকা কিনতে জগন্নাতপুর উপজেলা থেকে আসা সুরমান বক্স জানান,এখনই তো নৌকার সময়।বন্যায় সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে অসুবিধা হওয়ায় নৌকা কিনতে এসেছি।পাশাপাশি গোখাদ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য নৌকা বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি দরকারী।
বাজারের ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা মুজাহিদ আলী জানান,এখন বর্ষাকাল।উপজেলার খালবিল ও নদনদী পানিতে ভরপুর।এই সময়টাতে নৌকার হাটে ভিড় থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে নৌকাও বিক্রি হয়ে থাকে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com